দেশ🐓ের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সম্প্রতি ঘোষণা করেছিলেন যে সুপ্রিম কোর্ট দেশের মানুষের সুবিধার্থে আঞ্চলিক ভাষাতেও রায়ের অনুবাদ করা হবে। মঙ্গলবার লালকেল্লায় ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণে এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এই উদ্যোগের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন সেখানে অতিথিদের আসনে বসেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি হাতজোড় করে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: বিশ্বকর্মা পুজোর দিন চ💎ালু হবে নয়া প্রকল্প, কাদের মুখে হাসি ফোটাতে ঘোষণা মোদীর?
এদিন ভাষণে আঞ্চলিক ভাষার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী এই সিদ্ধান্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আমি সুপ্রিম কোর্টকেꦰ ধন্যবাদ জানাতে চাই যে এখন রায়ের কপি মাতৃভাষায় পাওয়া যাবে।’ এরপরেই আঞ্চলিক ভাষায় রায়ের কপি দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাতৃভাষার তাৎপর্য বাড়ছে।’ ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় সম্মতি জানান।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধান বিচারপতি প্রায়ই আঞ্চলিক ভাষায় রায় প্রদানের জন্য আদালতের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। গত জানুয়ারিতে প্রধান বি𒀰চারপতি ঘোষণা করেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়গুলি চারটি ভাষায় অꦬনুবাদ করা হবে। সেগুলি হল হিন্দি, তামিল, গুজরাটি এবং ওড়িয়া। তিনি বলেছিলেন, ‘একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ যা আমরা সম্প্রতি গ্রহণ করেছি, তা হল আঞ্চলিক ভাষায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অনুবাদ। কারণ আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে আমরা ইংরেজি ভাষাটি ব্যবহার করি, সেটি এমন একটি ভাষা যা আমাদের নাগরিকদের ৯৯.৯ শতাংশ মানুষের কাছে বোধগম্য নয়।’
পরে মুম্বইতে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে প্রতিটি আঞ্চলিক ভাষায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কপি প্রদান করা এবং আদালতকে ভারতজুড়ে নাগরিকদের কাছে পৌঁছাতে সহায়তা কর💝ার জ🐠ন্য প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হবে।’ আদালতের এই নির্দেশের পরেই কিছু উচ্চ আদালত ইংরেজির পাশাপাশি আঞ্চলিক ভাষায়ও রায় দিতে শুরু করেছে।এর আগে, শীর্ষ আদালত ২০১৯ সালে নয়টি আঞ্চলিক ভাষায় রায় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই পদক্ষেপকে স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি স্বাগত জানিয়েছিলেন।