এই ঘটনা উত্তরাকাশীর প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দা সুনীতা রাউতেলার। উত্তরকাশীর গ্রাম থেকে তিনি কয়েকদিন আগেই আপেলের চাটনি বানিয়ে পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এরপর ঝালা গ্রামের সুনীতা ও তাঁর স্বামী ভরত সিং রাউতেলা পেয়েছেন স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্🅘লার অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ডাক। উত্তরকাশী থেকে এবার নয়া দিল্লির লালকেল্লার বুকে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার নিমন্ত্রণ পেয়ে রাউতেলা দম্পতি খুশি। ভরত সিং রাউতে𓆉লা বলছেন, এই আমন্ত্রণে তিনি ‘গর্বিত’।
কেন্দ্রীয় সরকারের ‘জনভাগিদারি’ সম্পর্কিত এক উদ্যোগের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে লালকেল্লায় দেশের নানান প্রান্ত থেকে বেছে নেওয়া কয়েকজনকে আমন্ত্রণ করা হয়। এই আমন্ত্রিতরা দেশের ‘ওয়ার মেমোরিয়াল’ ও ‘প্রধানমন্ত্রী সংগ্রালয়’ দেখারও সুযোগ পান। তেমন এক আমন্ত্রণ পেয়েছেন ভরত সিং রাউতেলা। 'ফার্মার্স প্রোডিউসার অর্গানাইজেশন' (এফপিও)এর উপভোক্তা ভরত বলছেন, ‘তানকোর কৃষক উৎপাদক সংগঠন স্বায়াত সহকারিতা’ থেকে এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে একটি চাটনি পাঠানো হয়। আর তারপর গ্রামের প্রধানের কাছে চিঠি আসে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে🍃। সেখানে ওই এফপিও চাটনির উল্লেখ করা হয়েছে।
( T♍ips to remove stains of fungus: বর্ষায় জামাকাপℱড়ে পড়ছে ফাঙ্গাসের দাগ? তুলে ফেলুন এই সহজ উপায়ে)
উল্লেখ্য, স্বামীর সঙ্গে হাত লাগিয়ে স্ত্রী সুনীতা রাউতেলা এই এফপিও-এর হাত ধরে ১৬২ টি জন গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এই সংগঠন চালান। এফপিও-এর আওতায় তারা ‘উপলা তানকোর কৃষক উৎপাদক সংগঠন স্বায়াত সহকারিতা’কে এগিয়ে নিয়ে যান। সেখানে তৈরি হয় চাটনি ও জ্যা♔ম। চলতি বছরের মার্চ মাসে সেখান থেকে চাটনি গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর জন্য। তারপরই গ্রামের প্রধানের কাছে আসে চিঠি। গ্রামে এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসাও আসে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে। এর আগে পর্যন্ত উপত্যকার বাকি আপেল উৎপাদকদের মতোই রাউতেলা দম্পতিরও সমস্যা ছিল জীবনদারণ নিয়ে। তবে রাস্তা তাঁরা খুঁজে নিয়েছেন। আর তাঁদের উদ্যোগে তৈরি চাটনির প্রশংসা এসেছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকেই। ইউনাইডেট নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম থেকে তাঁরা পান সহায়তা। সব মিলিয়ে উত্তরকাশীর এই গ্রাম ধীরে ধীরে চাটনির জন্য খ্যাতি পাচ্ছে। আর সেখান থেকেই উঠে আসা সুনীতা রাউতেলা এবার স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত।