জনপ্রিয় ইউটিউবার কার্ল রকের ভিসা বাতিল করল ভারত সরকার। ভিসা সংক্রান্ত নিয়ম ভাঙায় তাঁকে এক বছরের জন্য তাঁকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। নিউ জিল্যান্ডের নাগরিক কার্ল ভারতের বিভিন্ন স্থানে ট্র্যাভেল ভ্লগ বানাতেন। প্রসঙ্গত, ভারতে এনআরসি-সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ নিয়েও ভ্লগিং করেছিলেন তিনি।ভারতের সংস্কৃতি, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি তুলে ধরার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এর আগে কার্ল জানিয়েছিলেন, ২০২০ সালের অক্টোবরে তিনি ভারত থেকে দুবাই ও পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে তাঁকে কোনও কারণ না জানিয়েই ভিসা বাতিল করেছে ভারত সরকার, দাবি কার্লের।তাঁর দাবি, কাউকে ব্ল্যাকলিস্ট করার আগে কারণটুকু জানানো প্রয়োজন। সময়ও দিলে তাঁর সুবিধা হত বলে জানিয়েছেন কার্ল। ১ বছরের জন্য ব্ল্যাকলিস্ট হওয়ায় তিনি তাঁর স্ত্রী-পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না বলে জানান কার্ল। তাঁর স্ত্রী মনীষা মালিক নয়া দিল্লিতে থাকেন। মনীষার পৈতৃক বাড়ি হরিয়ানায়। কিন্তু কেন বাতিল হল তাঁর ভিসা?নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকদের কথায়, কার্ল টুরিস্ট ভিসা নিয়ে এসেছেন। কিন্তু তিনি এখানে ব্যবসা করছিলেন। ফলে এটি নিয়মবিরুদ্ধ। সেই কারণেই তাঁকে এক বছরের জন্য কালো তালিকাঙুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু ইউটিউব ভিডিয়ো বানিয়ে টাকা রোজগার করাকেই কি ব্যবসা বলা হচ্ছে? নাকি অন্য কোনও ব্যবসা? সে বিষয়ে কিছুই খোলসা করা হযনি{সহায়তা প্রার্থনা কার্লেরতিনি যাতে পুনরায় ভিসা পান ও ভারতে আসতে পারেন, তার জন্য আর্জি করেছেন কার্ল। টুইটারে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী, নরেন্দ্র মোদী, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও সাংবাদিকদের ট্যাগ করে টুইট করেন তিনি। এ বিষয়ে পিটিশনও চালু করেছেন তিনি। হয়নি। সম্প্রতি এই নিয়ে ইউটিউবে ভিডিয়োও পোস্ট করেন কার্ল রক। ভিডিয়োয় তিনি জানান, 'গত ২৬৯ দিন ধরে আমার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়নি।'