আগামী ২ ডিসেম্বর চিন সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ꦯওলি। সিদ্ধান্ত হয়েছে সেই সফরে গিয়ে চিনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে জল্পনা শুরু হয়েছে যে এটি ঋণ চেয়ে একটি চুক্তি। তারপরই এই চুক্তি নিয়ে তীব্র বিরোধিতা শুরু করে জোটের অংশীদার নেপালি কংগ্রেস। জোটের চাপে পড়তেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন চিন সফরে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-এর অধীনে ঋণের বিষয়ে কোনও চুক্তি হবে না।
আরও পড়ুন: নে♚পালে বাংলাদেশ বা শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই, দাবি PM ওলির
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং বিদেশ মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ওলি দাবি করেন ,চিনের সঙ্গে স্বাক্ষরিত বেল্ট অ্য♕ান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ একটি ঋণ-ভিত্তিক চুক্তি নয়। তাছাড়া চিনের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার বা না নেওয়ার বিষয়ে এখন আলোচনা করার দরকার নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে ঋণ বা অনুদান নিয়ে থাকি এবং যখনই আমাদের প্রয়োজন হয় যে কোনও দেশ বা সংস্থার কাছ থেকে আমরা তা নিয়ে থাকি। আমাদের ভিত্তিহীন গুজবে কান দেওয়া উচিত নয় যে দেশকে ফাঁসানোর জন্য ঋণ নেওয়া হচ্ছে।’ তি😼নি আরও জানান, চিনের সঙ্গে নেপালের দীর্ঘ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। বন্ধুত্বকে আরও বহুমাত্রিক করতে তিনি চিন সফরে যাচ্ছেন।
তিনি জানান, নেপাল যে কোনও দেশে প্রথম সফরে সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার পাশাপাশি জাতীয় কল্যাণ ও বিশ্ব কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেয়। একইসঙ্গে ওলি ভারতের প্রসঙ্গে জানান, ভারতের সঙ্গেও নেপালের একই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। নেপালের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য উভয় দেশের সঙ্গে সৌহা𒆙র্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের সুবিধা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন তিনি।
সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, নেপালি কংগ্রেস ওলিকে ঋণের পরিবর্তে অনুদান অনুসরণ করার আহ্বান জানায়। তারা সতর্ক করে যে তার ২ ডিসেম্বরে চিন সফরের সময় বিআরআই-তে যোগদানের পদক্ষেপ সরকারের স্থিতিশীলতাকে বিপন🃏্ন করতে পারে। এই অবস্থায় ওলি এবং এনসি-র মধ্যে মতানৈক্য জোটে ফাটলে তৈরি করেছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এনসি জোট থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করতে পারে যদি প্রধানমন্ত্রী চি🌸নে ঋণ নিয়ে আলোচনা করতে যান। যদিও নেপাল ২০১৭ সালে বিআরআই-এর জন্য একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। উল্লেখ্য, নেপালের দীর্ঘদিনের প্রথা হল নতুন প্রধানমন্ত্রীরা প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে ভারতে আসেন। তবে মাস খানেক আগেই দায়িত্ব পাওয়া অলি সেই প্রথা ভেঙে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে নয়াদিল্লির পরিবর্তে বেজিং সফরে যাচ্ছেন।