তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় কর্মসমিতির ব꧙ৈঠকে মুখোমুখি দেখা হল ভাই অনুব্রত মণ্ডল তথা কেষ্টর সঙ্গে দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সোমবার প্রথম দেখা হয় তৃণমূল সুপ্রিমো তথা দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। দেখা হয় দলের সেনাপতি তথা সর্ব♔ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। নিচুপট্টির বাড়ি থেকে কলকাতায় আসার আগে অনুব্রত মণ্ডল সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, দিদির সঙ্গে ভাই দেখা করবে তাতে অসুবিধার কি আছে! তারপর বৈঠকে যোগ দেন। কিন্তু সম্পূর্ণ নিশ্চুপ।
এদিকে অনুব্রত মণ্ডল এখন বীরভূমের জেলা সভাপতি। জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে তাঁকেই ডেকে মমত♚া বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মতামত জানতে চাইলেন। সূত্রের খবর, ওই বৈঠক চলাকালীন প্রথমে কেষ্টর কাছে কুশল সংবাদ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর জানতে চান, ‘কিছু বলবি, কেষ্ট? শরীর কেমন আছে?’ তৃণমূলনেত্রী তথা দিদিকে কেষ্ট বলেন, ‘আগের থেকে ভাল আছি’। এই কথা শুনে ভাই কেষ্টকে দিদি মমতা বলেছেন, ‘ভাল করে কাজ করতে হবে এবং সবাইকে নিয়ে চলতে হবে।’ আর বীরভূমের দাপুটে নেতা জানান, তাই হবে। তবে বীরভূমে অনুব♏্রত মণ্ডলের নেতৃত্বেই চলবে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসমিতির বৈঠকে এটাই জানিয়ে দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: হেমন সোরেনের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলায় পৌঁছল বার্তা
অন্যদিকে বৈঠক শেষ করে কালীঘাট থেকে বেরিয়ে কোনও শব্দ খরচ করেননি অনুব্রত মণ্ডল। এখন জেলা সভাপতি এবং কোর কমিটিতে আছেন অনুব্রত। এই বিষয়ে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘কেষ্ট বীরভূমের জেলা সভাপতি। পদাধিকারবলে কোর কমিটি–সহ জেলার সমস্ত কমিটির চেয়ারম্যান ও। জে♐লা সভাপতি কোর কমিটির সাধারণ সদস্য এটা আবার হয় না🦄 কি?’ তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনুব্রতর কোনও কথা হয়নি। এবার সামনের মাসে (ডিসেম্বর) কোর কমিটির বৈঠক হবে। আর সেখানে নানা বিষয়ে আলোচনা হবে। যার মধ্যে মূল বিষয় ‘সংগঠন’।
এছাড়া কালীঘাটে প্রায় দু’ঘণ্টার বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়–অনুব্রত মণ্ডলের মধ্যে কোনও রাজনৈতিক কথাবার্তা হয়নি। বরং একেবারে সাধারণ কথোপকথন হয়েছে। তার মধ্যেই যা বুঝিয়ে দেওয়ার সেটা দিয়েছেন নেত্রী। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, ‘কেমন আছিস কেষ্ট? শরীর ঠিক আছে?’ জবাবে অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্য, ‘হ্যাঁ আমার শরীর ঠিক আছে। কিছু বলবি কেষ্ট?’ তবে কেষ্ট জানান, তাঁর কিছু বলার নেই। আসলে বলার হয়ত অনেক কিছুই আছে। ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚসেটা সবার সামনে বলা উচিত নয়। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে জেলায় ফিরে আসার পর এখন তাঁর হাতে রাশ নেই। বরং তাঁকেই অনেক কিছু শুনতে হচ্ছে। আর এটাই তো বলার ﷽আছে। যা বলা গেল না বলে জানা যাচ্ছে।