পরিচিত চিত্রনাট্য মেনেই চলল ভারত-চিন কোর কম্যান্ডারদের সপ্তম রাউন্ডের বৈঠক। কার্যক্ষেত্রে কোনও সমাধানসূত্র পাওয়া গে🥂ল না বারো ঘণ্টার বৈঠকে। কিন্তু দুই দেশ একে অপরের অবস্থান আরও ভালো করে বুঝতে পারছে বলে জানাল হল দীর্ঘ বৈঠকের পর। অন্যদিকে বেজিংয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফে আপত্তি করা হয়েছে ভারত যেভাবে সীমান্তে সেতু নির্মাণ করছে সেই নিয়ে।
সোমবার চুশূলে বৈঠকের পর মঙ্গলবার যৌথ বিবৃতি দিয়েছে দুই পক্ষ। সেখানে বলা হয়েছে যে গঠনমূলক, ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। দুই দেশ একে অপরের অবস্থান বুঝতে পারছে আরও ভালো ভাবে। সীমান্তে যাতে শান্তি বজায় থাকে ও পূর্ব লাদাখে দ্রুত যাতে সেনার সংখ্যা কমানো যায়, তার জন্য আলো💯চনা চালিয়ে যাওয়া হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, সীমান্তের দুই পারে উভয় দেশ প্রায় ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করে রেখেছে যারা প্রচন্ড শীতেও এখানে থাকবে। এটিই ছিল শেষ বৈঠক যেখানে ভারতের নেতৃত্ব দিলেন কোর কম্যান্ডার হরিন্দর সিং। এর পরের বৈঠকগুলিতে নেতৃত্ব দেবেন লিউট্যানেন্ট জেনারেল পিজিকে মেনন যিনি ১৪ কম্যান্ডারের দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন।
অন্যদিকে ভারত যেভাবে সীমান্তে সেতু তৈরি করছে, তাতে আপত্তি জানিয়েছে চিনের বিদেশমন্ত্রক। মুখপাত্র ঝাও লিজিয়াং বলেন সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতের সামরিক পরিকাঠামোয় উনꦛ্নতি ও সেনা বৃদ্ধি, দুই দেশের মধ্যে অস্থিরতার মূল কারণ। শান্তির স্বার্থে সীমান্তে পরিকাঠামো বৃদ্ধি করতে নিষেধ করেছে চিন। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ৪৪টি নয়া ব্রিজের উদ্বোধন করেছেন রাজনাথ সিং। তার মধ্যে ৩০টি লাদাখ থেকে অরুণাচল অবধি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর। চিনের পরিকাঠামোর সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য দ্রুত কাজ এগোচ্ছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন। ঝাও বলেন যে ত🍬াঁরা কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল লাদাখকে স্বীকৃতি দেন না ও সেখানে পরিস্থিতি কোনও ভাবে বদল করতে মানা করেন ভারতকে।