ভারতের চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিরাট বড় খবর। দেশের অধিকাংশ মানুষ যেখানে চিকিৎসার খরচ চালাতে হিমশিম খান, সেখানে ৪ বিরল রোগর চিকিৎসার খরচ বিপুল পরিমাণে কমানোর রাস্তা বার করে ফেললেন ভারতের বিজ্ঞানীরা। সরকারি সংস্থার সহায়তায় ভারতীয় ওষুধ কোম্পানিগুলো🍃 এক বছরে চারটি বিরল রোগের চিকিৎসার ওষুধ তৈরি করতে পেরেছে। এ কারণে চিকিৎসার খরচ কমতে চলেছে বিপুল পরিমাণে। আগের খরচের ১০০ ভাগের মাত্র ১ ভাগ খরচ হতে পারে এবার। আর যেটি এর পাশাপাশি আরও ভালো খবর, এই রোগগুলির বেশিরভাগই শিশুদের মধ্যে ঘটে। ফলে এই আবিষ্কার শিশুদের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও বড় একটি ধা🉐প বলেও মনে করা হচ্ছে।
(আরও পড়ুন: শীতের মারণরোগ থেকে বাঁচায় কাঁচা হলুদের ൲চা! কেন খাবেন, কীভাবে🔯ই বা বানাবেন)
কোন কোন রোগের ক্ষেত্রে এটি ঘটছে?
উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, টাইরোসেমিয়া টাইপ ১-এর চিকিৎসার জন্য বার্ষিক খরচ ছিল ২.২ কোটি থেকে ৬.৫ কোটি টাকা, কিন্তু এখন সেই একই খরচ নেমে এসেছে ২.৫ লক্ষ টাকায়। এটি একটি রোগ যা শিশুদের মধ্যে ঘটে এবং যদি চিকিৎসা না করা হয় তবে শিশুটি প্রা♎য় ১০ বছর বয়সের মধ্যেই মারা যেতে পারে। অন্য তিনটি বিরল রোগের মধ্যে রয়েছে গাউচার, যা লিভারের বৃদ্ধি এবং হাড়ের ব্যথার কারণ। গাউচারের চিকিৎসায় বছরে ১.৮ থেকে ৩.৬ কোটি টাকা খরচ হত, কিন্তু এখন এই খরচ নেমে এসেছে ৩.৬ লক্ষ টাকায়।
(আরও পড়ুন: শোল মাছ খান? পরের বার ♒খাওয়💜ার আগে এই মাছ সম্পর্কে ভালো করে জেনে নিন)
এরকম একটি বিরল রোগ হল উইলসন ডিজিজ, যাতে আক্রান্ত হলে লিভ♋ারে কপার জমে থাকে এবং এর ফলে মানসিক সমস্যাও দেখা দিতে থাকে। ট্রিনটিন ক্যাপসুল দিয়ে এর চিকিৎসায় প্রতি বছর ২.২ কোটি টাকা খরচ হত, যা এখন ২.২ লাখ টাকায় নেমে এসেছে। যেখানে আগে ড্রাভেট বা লেনক্সের চিকিৎসায় বছরে ৭ থেকে ৩৪ লক্ষ টাকা খরচ হত, কিন্তু এখন এর চিকিৎসার খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড় লাখ টাকা।
(আরও পড়ুন: লিভার প্রতিস্থাপন হওয়া প্রথম শিশু! ꦬ২৫ বছর পর সে নিজেই চিকিৎসক)
সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ৮.৪ কোটি থেকে ১০ কোটি রোগী বিরল রোগে ভুগছেন। তাঁদের মধ্যে ৮০ শতাংশই জেনেটিক রোগ। যার অর্থ এই রোগগুলির চিকিৎসায় বিপুল পরিমাণে টাকা দরকার। এক বছর আগে, বায়োফোর ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, লরাস ল্যাবস লিমিটেড, এমএসএন ফার্মাসি🍃উটিক্যাল এবং অ্যাকুমস ড্রাগস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিকসের মতো সংস্থাগুলি ১৩টি বিরল রোগের ওষুধ নিয়ে কাজ শুরু করেছিল। এর মধ্যে চারটির চিকিৎসার জন্য ওষুধ তৈরি করা হয়েছে, বাকি রোগের ওষুধ শীঘ্রই তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে সফল হলে আগামী দিনে এই জাতীয় বিরল রোগের চিকিৎসার খরচ অনেক খানি কমে আসবে বলেই আশা।