শেষবার ১৯৮২ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার জরুরি অধিবেশন। সেবার আফগানিস্তান দখলের জন্য অভিযান শুরু করেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। আর এবার ইউক্রেন দখল করার জন্য আগ্রাসন শুরু করেছে রাশিয়া। এই আবহে ৪০ বছর পর ফের একবার এই ধরনের জরুরি অধিবেশনের ডাক দেওয়া হল। আর এই সভাতে যুদ্ধের প্রেক্ষিতে নিজের যুক্তি দ🥃িল🌌েও প্রায় একঘরেই হল রাশিয়া। স্বাধীন রাষ্ট্রের উপর রাশিয়ার আগ্রাসন কেউই মেনে নিল না। ভারতও সংঘর্ষ বন্ধ করে আলোচনার পথে ফেরার বার্তা দিল এই সভায়।
ইউক্রেন ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ১১তম জরুরি বিশেষ অধিবেশনে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি বলেন, ‘ভারতের ধারাবাহিক অবস্থান, বিবাদের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি। আমাদের সরকার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে কূটনীতির পথে ফিরে আসা ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই।’ উল্লেখ্য, এর আগে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বেশ কয়েকবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবের ভোটাভুটি থেকে বিরত থেকেছে ভারত। তবে রাশিয়🔜ার বিরোধিতার পথে না হাঁটলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে রাশিয়ার আগ্রাসনকে কোনও ভাবেই সমর্থন করবে না ভারত। আজকে ভারতীয় দূতের বক্তব্যে আরও একবার স্পষ্ট হল যে ভারত সংঘর্ষ বন্ধ করে আলোচনা চায় দুই পক্ষের মধ্যেই। তবে রাশিয়ার নাম নিয়ে কোনও ভাবেই কোনও বিরূপ মন্তব্য করা হয়নি ভারতের তরফে। সরাসরি রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দাও করেনি ভারত।
রাষ্ট্রসংঘে ভারতীয় দূত আরও বলেন, ‘ইউক্রেনে🍬 এখনও অনেক ভারতীয় আটকে পড়ে আছেন। আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের অবিলম্বে এবং জরুরি ভিত্তিতে ইউক্রেন থেকে সরিয়ে আনার জন্য ভারত যা যা করতে পারে তা করছে... এই গুরুত্বপূর্ণ মানবিক সংকট অবিলম্বে সমাধান করা উচিত। আমি ইউক্রেনের সমস্ত প্রতিবেশী দেশকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা আমাদের নাগরিকদের জন্য তাদের সীমান্ত খুলে দিয়েছে এবং আমাদের মিশন ও তাদের কর্মীদের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। আমাদের প্রতিবেশী এবং উন্নয়নশীল দেশ থেকে যারা সাহায্য চাইতে পারে তাদের সাহায্য করতে আমরা প্রস্তুত।’ পাশাপ🔯াশি এদিন রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে ভারতের তরফে ইউক্রেন সীমান্তে তৈরি হওয়া ‘জটিলতা’র বিষয়টিও উত্থাপিত করা হয়।