পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের গুয়ামে বহুজাতিক মহড়া সি ড্রাগনে অংশ নিল ভারত। এই সামরিক মহড়ায় কোয়াডভুক্ত চারটি দেশ অংশ নিয়েছে। তাছাড়া কানাডা এবং দক্ষিণ কোরিয়াও এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করছে। সামরিক মহড়ায় প্রাথমিকভাবে সাবমেরিন বিরোধী যুদ্ধের প্রশিক্ষণের উপর নজর দেওয়া হয়েছে। এই মহড়ায় ২৭০ ঘণ্টারও বেশি ইন-ফ্লাইট প্রশিক্ষণ এবং সিমুলেটেড টার্গেট ট্র্যাকিং হবে। প্রশিক্ষণে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি সাবমেরিন ট্র্যাক করা হবে। উল্লেখ্য, প্রশান্ত মহাসাগরে আমেরিকার আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করে চিন। এই আবহে চিনকে রুখতে তৈরি হয়েছিল কোয়াড। এই পরিস্থিতিতে কোয়াডের সাথে 'চিন বিরোধী' কানাডা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া বেশ তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিটি ইভেন্টকে গ্রেড করা হবে এবং সর্বোচ্চ পয়েন্ট স্কোরকারী দেশ ড্রাগন বেল্ট পুরস্কার পাবে। গুয়ামের অ্যান্ডারসেন এয়ার ফোর্স বেসে এই যুদ্ধ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাতে ভারতীয় নৌবাহিনী, মার্কিন নৌবাহিনী, রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান এয়ার ফোর্স, রয়্যাল কানাডিয়ান এয়ার ফোর্স, জাপানের মেরিটাইম সেলফ-ডিফেন্স ফোর্স এবং দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর দল অংশ নিয়েছে। গতবছর ড্রাগন বেল্ট পুরস্কার জিতেছিল কানাডার এযার ফোর্স।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রোল স্কোয়াড্রন ৪৭-এর অফিসার ইন-চার্জ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ব্রাজ কেনেডি বলেন, ‘অফিসার-ইন-চার্জ হিসাবে আমি সি ড্রাগন ২০২২-এ থাকাকালীন অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারত, জাপান এবং কোরিয়ার সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব আরও বাড়ানোর সুযোগের জন্য আগ্রহী।’এদিকে জাপানের মেরিটাইম সেলফ-ডিফেন্স ফোর্সের এয়ার পেট্রোল স্কোয়াড্রন ৩-এর ফ্লাইট ডিভিশন ৩১-এর কমান্ডিং অফিসার তোমোইউকি মিশিয়ামা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে ক্লাসরুম প্রশিক্ষণ থেকে এই ধরনের প্রশিক্ষণে একটি সাবমেরিনকে লক্ষ্য করার মাধ্যমে আমরা আমাদের কৌশলগত দক্ষতা উন্নত করতে সক্ষম হব। প্রশিক্ষণ, মতামত বিনিময় এবং বিভিন্ন ধরনের আদান-প্রদানের মাধ্যমে আমরা অংশগ্রহণকারী নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়াকে আরও জোরদার করতে পারব বলে আশা করি।’