ভারত – বাংলাদেশ রেল করিডর চুক্তির সমালোচনা করায় ঢাকায় ফিরে বিরোধীদের তুমুল সমালোচনা করলেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সন্ধ্যায় বঙꦬ্গবন্ধু কন্যা ঢাকায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। যারা সমালোচনা করে তাদের এটা জানা উচিত, সারা পৃথিবীতে একটিমাত্র মিত্রশক্তি যারা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, সমস্ত রক্ত ঢেলে দিয়ে এই দেশ স্বাধীন করে দিয়েছে। আমাদের সমস্ত মুক্তিযোদ্ধারা ট্রেনিং পেয়েছে।’
আরও পড়ুন - দিঘা উন্নয়ন প♈র্ষদে কারও গা টিপছে, কারও পা!… অফিসারদের জন্য CID ভিজিলജ্যান্স, কড়া মমতা
পড়তে থাকুন - ধমক খেলেন মন্ত্রী আর সরানো হল রা𝔉জ্য়ের দুই সচিবকে, যাদবপুরের জমি দখলে🔯র খবরও দিদির কাছে
শেখ হাসিনা মনে করান, ‘পৃথিবীতে যে দেশই অন্য কোনও দেশকে মিত্রশক্তি হিসাবে সহযোগিতা করেছে 🌊তারা কিন্তু সেই🐬 দেশ ছেড়ে কখনও ফেরত যায়নি। এখনও জাপানে আমেরিকার সৈন্য, জার্মানিতে রাশিয়ার সৈন্যসহ পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশে সেই দৃষ্টান্ত পাওয়া যাবে। এখানে ভারত কিন্তু ব্যতিক্রম। তারা মিত্রশক্তি হিসাবে যুদ্ধ করে আমাদের পাশে থেকেছেন। কিন্তু যখনই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছেন তারা দেশে ফিরে যাক, ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়েছেন এবং তাদের ফেরত নিয়ে গেছেন। তারা যুদ্ধের সমস্ত সরঞ্জাম নিয়ে এসে যুদ্ধ করেছিল। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল তাদের কাছে। তার পরেও আমরা স্বাধীন সার্বভৌম্য রাষ্ট্র পেয়েছি। যারা বলে বাংলাদেশ ভারতের কাছে বিক্রি হয়ে যাবে, এর পর বিক্রিটা হয় কী ভাবে?’
সমালোচকদের তাঁর জবাব, ‘যার🌞া ভারতকে নিয়ে এসব বলে তারাই আসলে ক্ষমতায় থাকাকালীন ভারতের পা ধরে বসে ছ𝓰িল।’
আরও পড়ুন - মুখ্যমন্ত্রী এটা অন্তত ভালো ক𒁃াজ করেছেন, 'নবান্ন- ধমকে' খুশ💦ি বিজেপি নেতাও!
২ দিনের ভারত সফর শেষে ঢাকায় ফিরেছেন শেখ হাসিনা। এই সফরে ভারত – বাংলাদেশের মৈত্রীর সম্পর্ক আরও মজবুত করে পুনর্নবীকরণ হয়েছে ফরাক্কা জলচুক্তি। এছাড়া বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে কলকাতা ও ♕আগরতলার মধ্যে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলে রাজি হয়েছে ২ দেশ। এর ফলে ভারতীয় মালগাড়ি সরাসরি উত্তরপূর্বের রাজ্যগুল🥃িতে দ্রুত পৌঁছে যেতে পারবে পণ্য।