ঠিক যেন দীপাবলি। রাত ন’টায় বাড়ির আলো নিভে যাওয়ার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই বারান্দা, ছাদ আর দোরগোড়ায় জ্বলে উঠল অম্লান দীপশিখা। করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঐক্যের আলোক-শপথ গ্রহণ করল ভারত।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে রবিবার ঠিক রাত ৯টা বাজতেই নিভে গেল লোকালয়ের যত বাড়ির আলো। কিন্তু পরক্ষণেই দেখা গেল অভিনব দৃশ্য। অন্ধকার বারান্দা, ছাদ আর দোরগোড়ায় জ্বলে উঠল একে একে প্রদীপ, মোমবাতি, নিদেন মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশলাইট।করোনা সংক্রমণের অন্ধকার থেকে মুক্তির জন্য জাতীয় সংহতিকেই হাতিয়ার করার ডাক দিয়েছিলেন নমো। বিরোধীদের একাংশের টিকা-টিপ্পনি-সমালোচনা অতিক্রম করে দলমত নির্বিশেষে এ দিন তাতে শামিল হয়েছেন আপামর ভারতবাসী। সংক্রমণের অন্ধকার থেকে রোগমুক্তির আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছে লকডাউনের কালো রাত।নয় মিনিটের সৌহার্দ্য পর্বের শেষে ফের ঘরে ঘরে জ্বলে উঠেছে বিজলিবাতি। জাতীয় বৈদ্যুতিক গ্রিড বিপর্যয়ের আশঙ্কা দূর করে ফিরেছে অভ্যস্ত পরিবেশ। এখনও পর্যন্ত কোনও বড়সড় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের খবর পাওয়া যায়নি।ভোল্টেজের ওঠানামার জেরে গ্রিডে অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে বলে একাধিক রাজ্য সরকার ও প্রযুক্তিবিদরা যে আশঙ্কা করেছিলেন, শেষ পর্যন্ত তার সম্মুখীন হতে হয়নি বলে হাঁফ ছেড়েছেন গ্রিত কর্তারাও।শনিবার এই বিষয়ে আগাম ভরসা জুগিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক। বলা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে বাড়ির আলো নিভলেও জ্বলবে পথবাতি। নিরাপত্তার প্রয়োজনে হাসপাতাল, ওষুধের দোকান, থানা, সরকারি দফতর-সহ বহু জায়গায় আলো নিভবে না। তাই ফের আলো জ্বললে গ্রিডের উপর আচমকা অতিরিক্ত চাপ পড়ার প্রশ্ন নেই।সেই পূর্বাভাস সত্যি হওয়ায় স্বস্তির হাওয়া বইছে দেশজুড়ে।