তালিবানের দখলে গিয়েছে আফগানিস্তান। তালিবানের এই উত্থানে বিশ্ব দরবারে নাক কেটেছে আমেরিকার। এই কারণে রাশিয়া প্রাথমিক ভাবে কতকটা তালিবানের পক্ষ নিয়ে কথা বলেছিল। মধ্য এশিয়ায় আঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখতে তালিবানকে শান্ত রাখা রাশিয়ার হিতে। সেই একই ভাবে কাশ্মীরে উগ্রপন্থা না ছড়তে দেওয়া ভারতের স্বার্থে। এই পরিস্থিতিতে এবার মধ্য এশিয়ায় যাতে তালিবানি কট্টরপন্থা না ছড়িয়ে পড়ে, তার জন্য হাত মেলাচ্ছে ভারত-রাশিয়া।ভারত-রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং নিকোলায় পত্রুশেভ এই বিষয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসেছিলেন বুধবারে। এছাড়া ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিকোলায় পত্রুশেভ। এই বৈঠকে উভয় পক্ষের তরফেই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে তালিবান শাসনে থাকা কাবুল নিয়ে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উভয় দেশের গুপ্তচর সংস্থার প্রধানরাও।ইতিমধ্যেই গোয়েন্দাদের কাছে রিপোর্ট রয়েছে যে তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তানের মতো মধ্য এশীয় দেশে প্রভাব বিস্তার করা প্রচেষ্টা করছে পাকিস্তান এবং তুরস্ক। বিভিন্ন এনজিও-র মাধ্যমে এই প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক। এই দুই দেশই আফগানিস্তানে শরিয়ত আইন লাগু করে তালিবানি শাসনের পক্ষে মত প্রকাশ করেছে। পাকিস্তান তো তালিবানের সঙ্গে গভীর ভাবে জড়িয়ে রয়েছে।জানা গিয়েছে, আল-কায়দা ঘনিষ্ঠ উজবেক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক মুভমেন্ট অফ উজবেকিস্তানের বহু জঙ্গি আফগানিস্তানে রয়েছে তালিবানকে সাহায্য করতে। এই আবহে ভারত এবং রাশিয়া হাতে হাত মিলিয়ে মধ্য এশিয়াকে জঙ্গিমুক্ত রাখতে কাজ করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দুই দেশের তরফে। উল্লেখ্য, মধ্য এশিয়ার তাজিকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খুবই ভালো। সেই দেশে ভারতের এয়ারবেসও রয়েছে। আমেরিকা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ায় যেভাবে তালিবানের বিস্তার ঘটেছে, তাতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে মধ্য এশিয়ায় জিহাদকে সমর্থন করে ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্রগুলিকে অশআন্ত করে তুলতে পারে তালিবান।