♚ লাদাখের প্রত্যন্ত গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ও চিনা সৈন্যদের সংঘর্ষের আড়াই বছর পর আজও দুটি দেশ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বিপুল সংখ্যক জওয়ান মোতায়েন রেখেছে। এরই মাঝে গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচলের তাওয়াঙে দুই দেশের সেনা জওয়ানরা সংঘাতে জড়ান। এই পরিস্থিতিতে লাদাখ সীমান্তে যাতে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি না হয়, এই কারণে চুশুলে ১৭ দফার বৈঠকে বসল ভারত এবং চিনা সেনার কমান্ডাররা। আজ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানান, গত ২০ ডিসেম্বর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অরিন্দম বাগচি এই বিষয়ে বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে বিষয়ের গভীরে গিয়ে আলোচনা করা হয়। তবে আলোচনার বিস্তারিত বিষয়বস্তু প্রকাশ করেননি তিনি। তবে তিনি বলেন, ‘যে সব সমস্যার সমাধানসূত্র এখনও বেরিয়ে আসেনি, তা নিয়ে আলোচনা জারি থাকবে। যত দ্রুত সম্ভব সমাধান বের করা হবে। যা যা ইস্যু বাকি, তা নিয়ে শীঘ্রই কাজ করা হবে।’
🌸প্রসঙ্গত, গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ভারত ও চিনের মধ্যে মোট ১৬টি বৈঠক হয়েছে। একটি বৈঠক হয়েছিল গালওয়ান সংঘর্ষের আগে। এই বৈঠকগুলির ফলে কোথাও কোথাও শান্তি ফিরেছে, তবে সার্বিক ভাবে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে এখনও সামগ্রিক সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। এরই মাঝে কয়েক মাস আগে জানা গিয়েছিল, প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন ফিঙ্গার ৮-এর থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটা দূরে একটি বড় সেতু বানাচ্ছে চিন। অপরদিকে অরুণাচলেও আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়েছে চিন। তবে এরই মধ্যে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক যাতে আরও তলানিতে গিয়ে না ঠেকে, তার জন্য দুই দেশের সেনা পর্যায়ের বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
𓃲বর্তমানে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার দুই দিকেই এখন দুই দেশের সমসংখ্যক সেনা মোতায়েন রয়েছে। চিনের আর্মরড এবং রকেট রেজিমেন্টগুলি মোতায়েন রয়েছে রুডগ ঘাঁটি, প্যাংগং সোর দক্ষিণে এবং জিনজিয়াং সামরিক অঞ্চলের জিয়াদুল্লাহতে। পিএলএ এয়ার ফোর্স ডেমচোক এবং জিনজিয়াংয়ের হোতান এয়ারবেসে তাদের যুদ্ধবিমান এবং বোমারু বিমান মোতায়েন করে রেখেছে। এই আবহে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখচে চাইছে ভারত। তবে বেজিংয়ের আগ্রাসী মনোভাবের আবহে শান্তি ফেরাতে তাদের সদিচ্ছা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে বিশ্লেষকদের মধ্যে।