গোটা বিশ্বেরই এখন নজর ইউরোপে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘর্ষের দিকে। তবে এরই মাঝে ভারত চিনের গতিবিধির উপর নজর দিয়ে চলেছে। এই আবহে শুক্রবার সেনা প্রধান এমএম নারাভানে মথুরা ভিত্তিক স্ট্রাইক ফর্মেশনের তদারকি করতে গিয়েছিলেন। এই স্ট্রাইক ফর্মেশনের উপর উত্তরে চিন সীমান্তের দায়িত্ব দেওয়া আছে। এই পরিস্থিতিতে শিলিগুড়ি করিডোরে আকাশ অনুশীলনও করেছে এই ফর্মেশনটি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা কর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন, ‘ইউক্রেনের পরিস্থিতিকে একই প্রেক্ষাপটে দেখতে হবে যা চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি ভারতের উত্তর সীমান্তে করতে পারে। কোনও পর্যায়েই আমাদের সীমান্তের প্রতি মনোযোগ হারানো উচিত নয়। আমরা একটি দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করছি।’উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৫ জুন লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল ভারত ও চিনের সেনা। সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছিল, লাল ফৌজ়ের কমপক্ষে ৪০ জন জওয়ান হতাহত হন। তার পর থেকে একাধিকবার সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা হয়েছে। চিনের সঙ্গে দফায় দফায় কোর কমান্ডার স্তরে বৈঠক করেছে ভারতীয় সেনা। কিন্তু তারপরেও দীর্ঘদিন সীমান্তে শক্তি বাড়িয়ে চলেছে চিন। ভারতও প্রস্তুত আছে সীমান্তে। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি সেনা।এর আগে ১২ জানুয়ারি ভারত-চিন ১৪তম কমান্ডার স্তরের বৈঠক হয়। তবে আগের ১৩টি বৈঠকের মতো এই বৈঠকেও কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। কংকা লা-র কাছে হট স্প্রিংস, দৌলেট বেগ ওল্ডি সেক্টরে ডেপসাং এবং ডেমচোক সেক্টরে চার্ডিং নল্লা জংশনে (সিএনজে) এখনও চিনা সেনা সীমান্তের খুব কাছে সেনা মোতায়েন রেখেছে যার জেরে উত্তেজনা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে এই সব এলাকায়।