সীমান্তে সন্ত্রাসের যে নীতি পাকিস্তান অনুসরণ করে, তা কখনও সফল হবে না বলে ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ার করে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। পাশাপাশি পাকিস্তানের সরকারকে ভারতের স্পষ্ট বার্তা, সন্ত্রাসবাদে মদত দিলে তা থেকে দায় ঝেড়ে ফেলা সম্ভব হবে না পাশাপাশি সেই কর্মের ফল ভোগ করতে হবে তাদের। এদিকে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারত সাফ জানিয়েছে, পাকিস্তান যে অবৈধভাবে ভারতের ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে এবং সন্ত্রাসবাদ চালাচ্ছে, সেটাই একমাত্র আলোচ্য বিষয় হতে পারে বর্তমানে। এছাড়াও পাকিস্তানকে খোঁচা দিয়ে ভারতের বক্তব্য, এত বছর ধরে নিজেদের সমাজে যে কট্টরপন্থার বীজ পাকিস্তান বপণ করেছিল, তারই কর্মফলই ভোগ করতে হচ্ছে তাদের। (আরও পড়ুন: বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, উৎসবের মরশুমে বাড়ছে ন্যূনতম বেতন✱, ডিএ বৃদ্ধি ৩.২%)
আরও পড়ুন: বেতন বাড়ল কয়েক হাজার, পুজোর মুখে চুক্🦩ত𒊎িভিত্তিক কর্মীদের পকেট ভরাল মমতার সরকার
শনিবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে নিজের বক্তৃতা রাখার সময়ই ড়া ভাষায় প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করেন জয়শংকর। উল্লেখ্য, একদিন আগেই এই একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ কাশ্মীরকে প্যালেস্তাইনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। আর তারই জবাবে পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় বিঁধলেন জয়শংকর। এর আগে শেহবাজ অভিযোগ করেছিলেন, ভারত নাকি কাশ্মীরে 'কলোনি' বসিয়েছে। পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ ঠিল, দিল্লি আগ্রাসী মনোভাব পোষণ করে এবং তাদের হিন্দুত্ববাদী নীতিকে মুসলিমভীতির সঙ্গে তুলনা করেন। (আরও পড়ুন: পুজোর আগে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, চাল🍒 রফতানির ওপর থেকে উঠ🌠ল নিষেধাজ্ঞা)
আরও পড়ুন: রবিবাসরীয় বাজার মাতাবে পদ্মার♈ ইলিℱশ, আরও রুপোলি শস্য এল ভারতে, দাম কত জানেন?
জয়শংকর বলেন, 'বহু দেশই এমন কিছু কারণের জন্যে পিছিয়ে পড়ে, যা তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কিন্তু কিছু কিছু দেশ আবার নিজেদের ভেবে চিন্তে নেওয়া সিদ্ধান্তের কারণেই পিছিয়ে পড়ে। এর অন্যতম উদাহরণ হল পাকিস্তান। দুঃখজনকভাবে ওদের খারাপ কাজের ফল অন্যদেরও ওপরও প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলির ওপরে। যখন রাজনীতি জনগণের মধ্যে ধর্মান্ধতা জাগিয়ে তোলে, তখন দেশের জিডিপি শুধুমাত্র মৌলবাদের পরিপ্রেক্ষিতে মাপা হয়। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ রফতানির আকারে উন্নয়নের পরিমাপ হয়। পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অন্য কাউকে দোষ দেওয়া উচিত নয়। বরং নিজেদের সমাজে কট্টরপন্থার যে বীজ তারা বপণ করেছে, এটা𒈔 তারই কর্মফল। যে দেশ অন্যের জমি দখল করার চেষ্টা করে, তাদের মুখোশ খুলে দেওয়া এবং পাল্টা জবাব দেওয়া জরুরি। গতকালই আমরা এই মঞ্চ থেকে বেশ কিছু অদ্ভুত অভিযোগ শুনেছি। তা নিয়ে আমি ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিতে চাই। পাকিস্তান𒁏ের এই সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসবাদ পরিচালনের নীতি কখনও সফল হবে না। এর দায়ও তারা এড়াতে পারে না। তাদের কর্মফল পেতেই হবে। দুই দেশের মধ্য়ে এই সমস্যার সমাধান তখনই সম্ভব যখন বেআইনিভাবে ভারতের দখল করা জমি পাকিস্তান দখলমুক্ত করবে এবং সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে তাদের দীর্ঘকালীন সম্পর্ক ছেদ করবে।'