বহুদিন ধরেই এক গৃহহীনকে খাবার দিয়ে আসছিলেন। তবে সেই গৃহহীন ব্যক্তির হাতেই নৃশংস ভাবে খুন হতে হল ভারতীয় পড়ুয়াকে। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার জর্জিয়া প্রদেশের লিথনিয়া নামক শহরে। সেখানে শেভরনের একটি পেট্রোল পাম্পের ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ক্যাশিয়ারের কাজ করতেন ভারতীয় পড়ুয়া বিবেক সাইনি। ২৫ বছর বয়সি বিবেক স্নাতোকত্তর স্তরের পড়াশোনা করছিলেন আমেরিকায়। সঙ্গে রোজগারের জন্য এই স্টোরে কাজ করতেন তিনি। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই জুলিয়ান ফকনার নামক এক গৃহহীনকে সেই স্টোরে থাকতে এবং খেতে দিয়েছিলেন বিবেক। তবে গত ১৬ জানুয়ারি জুলিয়ানকে চলে যেতে বলেন বিবেক। আর তারপরই বিবেককে খুন করে জুলিয়ান। (আরও পড়ুন: 'রোহিঙ্গাদের মতো...',🌼 ৭ দিনে বাংলায় CAA, সুকান্তকꦑে পাশে নিয়ে দাবি শান্তনুর)
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যে নিহত ৩ মার্কিন সেনা, নিজেদের ঘাঁটির 'ঠিকানা' জানে না আমের🍸িকাই!
রিপোর্ট অনুযায়ী, হাতুড়ি দিয়ে বিবেকের মুখে এবং মাথায় ৫০ বারেরও বেশিবার আঘাত করে জুলিয়ান ফকনার। মৃত বিবেকের মুখ পুরোপুরি থেঁথলে গিয়েছে। সেই সময় স্টোরে আরও এক কর্মী ছিল। সে ভয়ে লুকিয়ে পড়েছিল। সে গোটা ঘটনা নিজের চোখে দেখে। পুলিশের কাছে সে বয়ান দিয়েছে জুলিয়ানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি প্রায় ২ সপ্তাহ আগে ঘটলেও এখন তা সামনে এসেছে। পুলিশ জানায়, ধৃত জুলিয়ানের কাছ থেকে একটা হাতুড়ি এবং দুﷺ'টি ছরি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এদিকে তদন্তে নেমে পুলিশ স্টোরের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখেছে। সেখানে বিবেকের খুনের দৃশ্য দেখা গিয়েছে।
এদিকে কী ঘটেছিল গত ১৬ জানুয়ারিতে? খুনের সময় লুকিয়ে থাকা কর্মী বলেন, 'ও আমাদের কাছে চিপস আর কোক চেয়েছিল। আমরা সেটা ওকে দিয়েছিলাম। সঙ্গে এক বোতল জলও দিয়েছিলাম। আমরা দু'দিন ওকে সাহায্য করেছিলাম। আদামের কাছে ও কম্বল চেয়েছিল। তবে আমাদের কাছে কম্বল ছিল না। তাই আমরা তাকে জ্যাকেট দিয়েছিলাম। ও মাঝেমাঝেই আসত আর সিগারেট আর জল চাইত। আমরা সবই দিয়েছিলাম ওকে। ও এখানেই বসে থাকত প্রায় সব সময়। আমরা ওকে বেরিয়ে যেতে বলিনি। কারণ বাইরে ঠান্ডা ছিল। তবে দু'দিন এমনই ভাবে চলতে থাকার পর ১৬ তারিখ বিবেক জুলিয়ানকে বেরিয়ে যেতে বলে। এরপর বচসা শুরু হলে বিবেক বলে সে পুলিশকে ডাকতে বাধ্য হবে। সেই সময় হাতুড়ি দিয়ে বিবেককে মাথায় আর মুখে অন্তত ৫০ বার আঘাত করে জুলিয়ান।' এরপর মধ্যরাতের পর সেই কর্মী পুলিশকে ফোন করে।🎀 পুলিশ এসে এরপর জুলিয়ানকে গ্রেফতার করে। জুলিয়ানের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। সে আপাতত জেলে আছে।