গুজরাটের সুরাটের পাতিদার অধ্যুষিত এলাকা ভারাচ্চা। সেখানে আর চার পাঁচটা পরিবারের মতোই মাঙ্গুকিয়া পরিবারে বেড়ে উঠেছিলেন হেমিল মাঙ্গুকিয়া। গত ডিসেম্বরে সে বাড়িতে জানায় যে ,সে রাশিয়া যাচ্ছে। সেখান থেকে ফোনে বাড়ির সঙ্গে কথাও হত হেমিলের। রাশিয়া যাওয়ার আগে হেমিল বাড়িতে জানিয়েছিলেন সেখানে ‘হেল্পার’এর চাকরি নিয়ে তিনি যাচ্ছেন। এরপর সদ্য এসেছে হে♌মিলের মৃত্যু সংবাদ। মাঙ্গুকিয়া পরিবার জানতে পেরেছে তাঁদের বাড়ির ছেলে হেমিলকে রাশিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে লড়তে হয়েছে। আর সেখানেই ইউক্রেন সীমান্তে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
মাঙ্গুকিয়া পরিবার জানতে পেরেছে, হেমিলের মৃত্যু গত ২১ ফেব্রুয়ারি হয়েছে। তার ঠিক আগের দিন, অর্থাৎ ২০ ফেব্রুয়ারি হেমিলের সঙ্গে তাঁর পরিবারের কথা হয়েছে। পরিবার বলছে, সেদিন হেমিল জানিয়েছিলেন যে তিনি ভালো আছেন। এরপর সদ🦂্য এক চেনা পরিচিতর তরফে মাঙ্গুকিয়া পরিবার জানতে পারে যে হেমিলের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, ‘ আমরা বিনীত অনুরোধ করছি সরকারের কাছে, যাতে তারা রাশিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আর আমার ছেলের মৃতদেহ আমাদের বাড়িতে সুরাটে পৌঁছে যায়। সে ২১ ফেব্রুয়ারি মারা গিয়েছে। আমরা জানিওনা যে তার মৃতদেহ কোথায় রয়েছে। আর কাউকে জিজ্ঞাসা করার মতো কোনও ফোন নম্বরও আমাদের কাছে নেই। আমরা সহায়হীন হয়ে গিয়েছি।’
হেমিলের বাবা অশ্বিন আপাতত শোকে মুহ্যমান। তিনি বলছেন, 'হায়দরাবাদের বাসিন্দা ইমরান বলে একটি ছেলে, যাঁর ভাই হেমিলের সঙ্গে ছিল বলে জানা যাচ্ছে, সে আমাদের ২৩ ফেব্রুয়ারি ফোন করে। সেদিন ৬ টা🔯 নাগাদ আমাদের জানায় সে, যে হেমিল মারা গিয়েছে মিসাইল হামলায়।' হেমিলের কাকা অতুল মাঙ্গুকিয়া বলছেন, ‘আমরা সমস্ত সূত্র মারফ তথ্যগুলি বারবার পরখ করেছি। তবে দুর্ভাগ্য়বশত এই খবর সত্যি প্রমাণিত হয়েছে।’ তিনি বলছেন, ‘হেমিল সেখানে ভালো ছিল, এমনটাই আমাদের জানিয়েছিল।’ হেমিলের পরিবার বলছে, হেমিল সোশ্যাল মিডিয়ায় জানতে পেরেছিল যে, রাশিয়ার সেনায় ‘হেল্পার’ লাগবে। সেই সূত্র ধরেই সে চেন্নাইয়ের পথে রাশিয়া যায়। এই পথটি হেমিলের রিক্রুটমেন্ট এজেন্ট দেখিয়েছিল। হেমিলের কাকা বলছেন, ‘ হেমিলের প্রথম বেতন ছিল ২.৩ লাখ টাকা, যা কিছুদিন আগেই এসেছিল ব্যাঙ্কে।’ আপাতত স্থানীয় পুলিশ বলছে, পরিবারে শোকের ছায়া। এই পরিস্থিতিতে সেভাবে জেরা করা যাচ্ছে না। তবে এরপরই তদন্তের স্বার্থে পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হবে।