সম্প্রতি অপারেশন ব্লু স্টারের ৩৯তম বার্ষীকি প🐈ার হল। এই আবহে কানাডায় খালিস্তানপন্থীরা 'প্যারেড'-এর অয়োজন করেছিল বিভিন্ন জায়গায়। ব্র্যাম্পটনেও এই ধরনের একটি প্যারেডের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেই প্যারেডেই এক বিতর্কিত 'ট্যাবলো'র ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যালꦉ মিডিয়ায়। দেখা গিয়েছে, খালিস্তানিদের সেই প্যারেডে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য ফুটিয়ে তোা হয়েছে একটি ট্যাবলোতে। যা নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে চর্চা তুঙ্গে। এর আগেও কানাডায় খালিস্তানপন্থীদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সেদেশের সরকারের সঙ্গে কথা বলেছে ভারত। তবে এই ধরনের ঘটনা দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, অপারেশন ব্লু্টারের বার্ষীকি উপলক্ষে কানাডার ব্র্যাম্পটনে পাঁচ কিলোমিটাল লম্বা প্যারেডের আয়োজন করা হয়েছিল। ভাইরাল ভিডিয়োতে দাবি করা 🍌হয়েছে, গত ৪ জুনের সেই প্যারেডে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয় এক ট্যাবলোতে। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ভারতীয় সেনার পোশাকে দুই শিখ জওয়ান বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে। সাদা শাড়ি পরিহিত এক মহিলা রক্তাক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে। সেই ট্যাবলোর পিছনে খালিস্থানি পতাকা নিয়ে পা মেলাচ্ছেন বেশ কয়েকজন।
উল্লেখ্য, গত ৬ জুন ছিল অপারেশন ব্লু স্টারের ৩৯ত𝐆ম বার্ষীকি। খালিস্তানি জঙ্গি ভ্রিন্দেনওয়ালাকে খতম করতে ১৯৮৪ সালে অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। পরবর্তীতে ইন্দিরা গান্ধীর দুই শিখ দেহরক্ষী 𝓡তাঁকে খুন করেছিল সেই অভিযানের প্রতিশোধ হিসেবে। সেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর। পরে শুরু হয়েছিল শিখ দাঙ্গা। এদিকে বর্তমান প্রেক্ষিতে খালিস্তানি নেতা অমৃতপালের উত্থান এবং তার গ্রেফতারির জেরে নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে খালিস্তানি বিচ্ছিনতাবাদীরা।
এদিকে এর আগে কানাডায় একাধিক হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর, লুঠপাট হয়েছে। হিন্দু মন্দিরের দেওয়ালে ভারত বিরোধী এবং হুমক💎িমূলক বার্তা লেখা হয়েছে। যা নিয়ে বারবার অভিযোগের আঙুল উঠেছে সেদেশে বসবাসরত খালিস্তানপন্থীদের দিকে। এদিকে কানাডার রাজনীতিতে শিখদের একটি বড় প্রভাব রয়েছে। এই আবহে খালিস্তানপন্থীদের নিয়ে কিছুটা সুর নরং সেদেশের সরকারের। এই আবহে ভারত সরকার বারংবার কানাডার সঙ্গে কথা বললেও পরিস্থিতি বদলাচ্ছে না।
এদিকে এই ঘটনার কথা সামনে আসতেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার ক্যামেরন ম্যাকয়। একটি টুইট করে তিনি লেখেন, ‘𒈔কানাডায় প্রয়াত ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ড উদযাপনের একটি অনুষ্ঠানের খবরে হতবাক। কানাডায় ঘৃণা বা সহিংসতার উদযাপনের কোনও স্💜থান নেই। আমি এসব কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।’