আজ, সোমবার লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোট শুরু হয়েছে। ভোটপঞ্চমীতে নানা অভিযোগও উঠতে শুরু করেছে। এই আবহে বাংলাদেশ থেকে ৬৫ জনের বেশি উদ্বাস্তু মিজোরামে ঢুকে পড়েছে। রবিবার মিজোরামের দক্ষিণপ্রান্তে এই উদ্বাস্তুদের প্রবেশ করতে দেখা গিয়েছে। তার জেরে সেখানে উদ্বাস্তুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৩৩ জন। মিজোরামের লংটাই এলাকায় এই উদ্বাস্তুদের আশ্রয় নিতে দেখা গিয়েছে। এদিকে ꦉকেন্দ্রীয় সরকার উদ্বাস্তুদের আর ঢুকতে দিতে নারাজ। তার জন্যই এনআরসি, সিএএ কার্যকর করা হয়েছে। তারপরও এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও এই বিষয়ে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এদিকে এই ঘটনা কারও অজানা নয়। তাই মিজোরামের লংটাই এলাকার অফিসার জানান, উদ্বাস্তুরা ভাতুয়ামপুই গ্রামে ঢুকে সেখানে থাকতে শুরু করেছেন। এখানে আসার আগে তাঁরা মাউটলাং গ্রামে বিশ্রাম নেন। এই উদ্বাস্তুদের মধ্যে ৩৮ জন পুরুষ এবং ২৭ জন মহিলা রয়েছেন। তবে এই মোট সংখ্যার মধ্যে তাঁদের শিশু ও প্রবীণরাও আছেন। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে মিজোরামে প্রবেশ করে বসবাস করতেꦕ শুরু করেছেন তাঁর🍬া। এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ উদ্বাস্তুরা এখানে চলে আসায় জনজীবনে প্রভাব পড়তে পারে। এই ঘটনার কথা বাংলাদেশ সরকার জানলেও এখান থেকে কিছু জানানো হয়েছে কিনা সেটা জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: জাঙ্গিপাড়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ, গ্রেফতার কেন্🌼দ্🐲রীয় বাহিনীর জওয়ান
অন্যদিকে ভাতুয়ামপুই গ্রামের বাসিন্দারা প্রশাসনকে এই ঘটনার কথা জানিয়েছেন। এখানে বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে উদ্বাস্তু ঢুকতে শুরু করেছে। এখন সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। বাংলাদেশ সরকারকে কেন জানানো হয়নি? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গ্রামের বাস🌞িন্দারাই এই প্রশ্ন তুলতে সুরু করেছেন। আবার কেন তাঁরা বাংলাদেশ থেকে মিজোরামে এলেন? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর মিলছে না। তাছাড়া এই এত স🌳ংখ্যক উদ্বাস্তু এখানে যে এসেছে, সেই প্রবেশ কি বৈধ? কোন নথি দেখিয়ে প্রবেশ করল উদ্বাস্তুরা? যদি বৈধ নথি না থাকে তাহলে কেমন করে প্রবেশ করল উদ্বাস্তুরা? এই প্রশ্নও উঠছে।
এছাড়া গত ১০ মে✨ থেকে উদ্বাস্তুরা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে মিজোরামে আসতে শুরু করেছে। ১২৭ জন উদ্বাস্তু প্রবেশ করেছে মিজোরামে। সুতরাং এই এক দেশ ছেড়ে আর এক দেশে এসে আশ্রয় নেওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। মিজোরামের ৬টি জেলায় এই উদ্বাস্তুরা আশ্রয় নিয়েছেন বলে খবর। খাওমাউই, হৃদেজল, হামাংবু, দক্ষিণ বুমটলাং, ভাতুয়ামপুই এবং চামদূর পি জেলায় উদ্বাস্তুরা আশ্রয় নিয়েছেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তাঁদের একটি কমিউনিটি হলে রাখা হয়েছে।