চিতাবাঘ সম্পর্কিত তথ্য জানতে আরটিআই করেছিলেন বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করা এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য । তবে❀ সেই তথ্য দিতে অস্বীকার করল মধ্যপ্রদেশ সরকার। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল আরটিআইয়ের💖 তথ্য না দেওয়ার কারণ হিসেবে এটিকে জাতীয় নিরাপত্তা এবং ভারতের সার্বভৌমত্বের বিষয় বলে উল্লেখ করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। এই অবস্থায় এর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা কীভাবে সম্পর্কিত তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা।
আরও পড়ুন: চা–বাগানে🥃 ট্র্যাপ ক্যামেরা লাগাল বন দফতর, চিতা বাঘের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি
মধ্যপ্রদেশের বন বিভাগ আফ্রিকা থেকে বেশ কয়েকটি চিতাবাঘ নিয়ে এসেছিল। ভারতে সেই চিতা বাঘের প্রজননের ব্যবস্থা করা হয়। চিতা বাঘগুলি বেশ কয়েকটি শাবকের জন্ম দিয়েছে। শাবকদের যত্ন ঠিকমতো হচ্ছে কিনা তা জানতে চেয়ে আরটি🦩আই করা হয়েছিল। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য অজয় দুবে আরটিআই করেছিলেন। তবে বনবিভাগ আরটিআই আইনের ধারা ৮(১)(এ) ধারায় এই আবেদন বাতিল করে। তার কারণ হিসেবে ভারতের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, কৌশলগত, অর্থনৈতিক স্বার্থের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কুনো এবং মান্দসৌরে চিতা প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি জানতে চেয়েছিলেন। অজয় দুবে জানান, কুনো জাতীয় উদ্যানে নামিবিয়া থেকে আনা হয়েছিল ৮টি চিতা। এর💙 আগে ভারতে জন্ম নেওয়া শাবকদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে তথ্য পেয়েছিলেন অজয়। তাতে তিনি জানতে পারেন এক শাবকের ডান পা ভেঙে গিয়ে♊ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ৮টি চিতা বাঘ প্রথমে ভারতে আনা হয়েছিল। এরপর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২ টি চিতা আনা হয়েছিল। সরকার বছরের শেষ নাগাদ মধ্যপ্রদেশের গান্ধীসাগর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে চিতাগুলিকে রাখে। গুজরাটের বান্নি অরণ্যে একটি চিতা সংরক্ষণ প্রজনন কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের নথি অনুসারে, লক্ষ্য ছিল কুনো-গান্ধীসাগর অঞ্চলে চিতাবাঘের সংখ্যা বাড়িয়ে ৬০ থেকে ৭০ টি ꦏকরা। মুখ্য প্রধান বন সংরক্ষকের (বন্যপ্রাণী) অফিসের জনসংযোগ আধিকারিক সৌরভ কুমার কাবরা বলেছেন, এই তথ্যটি ব্যবস্থাপনা শাখার সঙ্গে সম্পর্কিত, তারা আরটিআই আইনের ৮(১)(এ) ধারার অধীনে তথ্য না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।