'সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ' করার পরামর্শ দিয়ে এর আগে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি। আর এবার সিএনবিসি টিভি-১৮-এর অনুষ্ঠানে তিনি বললেন, 'ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্সে বিশ্বাস করি না আমি'। শুধু তাই নয়, তিনি আরও বললেন, 'যখন সাপ্তাহিক কর্মদিবস ৬ দিন থেকে কমে ৫ দিন করা হল, তখন আমি খুবই হতাশ হয়েছিলাম।' তাঁর কথায়, এই দেশে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ হল কঠোর পরিশ্রম করা। কেউ যত বুদ্ধিমানই হোক না কেন, কঠোর পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। (আরও পড়ুন: 'ব🀅াংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ না করলে হত্যাযজ্ঞ চলবে', চরম হুঁশিয়ারি ইউনুসকে)
আরও পড়ুন: 'সাময়িক বঞ্চন🌱ার' অবসান, একলাফে ১২% ডিএ ব𓂃াড়িয়ে কর্মীদের 'বড় উপহার' সরকারের
আরও পড়ুন: সামনে বিস্ফোরক 𒁃ভিডিয়ো, দেরাদুন দুর্ঘটনায় মৃত ৬ পড়ুয়ার পরিবার ক𝓀েন FIR করেনি এখনও
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি বলেছিলেন, এখনকার যুব প্রজন্মকে সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা করে কাজ করা উচিত। এরপর আবার তিনি বলেন, নিজেই তিনি সপ্তাহে ৮০ ঘণ্টার মতো কাজ করতেন। তাঁর এই সব মন্তব্য ঘিরে জোর চর্চা চলে। 'থ্রি ওয়ান ফোর ক্যাপিটাল'-এর সেই পডকাস্টে নারায়ণ মূর্তি বলেছিলেন, 'বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলির মানুষের নিরিখে ভারতীয়দের কর্মক্ষমতা অত্যন্ত কম। সেই পরিস্থিতিতে বিশ্বের সেরা দেশগুলির সঙ্গে টক্কর দিতে হলে দেশের তরুণদের আপ্রাণ পরিশ্রম করতে হবে।' (আরও পড়ুন: গুౠরু নানক জয়ন্তীতে আজ কি সরকারি ছুটি? ১৬ নভেম্বরও কি বাংলায় 🍌বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক?)
আরও পড়ুন: বাংলায় নয়া রেলপথের 'কাঁটা' এক দিঘি, অনড়🌺 ৯১, ৯৫০ মিটারের জন্যে নাছোড়বান্দা 🥂রেলও
'সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ' নিয়ে কী বলেছিলেন নারায়ণ মূর্তি?
ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা বলেছিলেন, 'অর্থনীতির নিরিখে চিনের মতো দেশের সঙ্গে টক্কর দিতে হলে ভারতের তরুণদের নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। ঠিক যে কাজটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে করেছিল জাপান, জার্মানির মতো দেশগুলি। বিশ্বের মধ্যে ভারতের কর্মক্ষমতা অন্যতম কম। যদি আমরা আমাদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করি, যদি না যে সরকারের কোনও স্তরে দুর্নীতিতে লাগাম টানতে না পারি, যদি না কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক লালফিতের ফাঁস কাটাতে না পারি, তাহলে আমরা সেইসব দেশের সঙ্গে লড়াই করতে পারব না, যেসব দেশের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তাই যুব সম্প্রদায়কে বলতে চাই, তাঁদের সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করার জন্যে প্রস্তুত থাকতে হবে।' তাঁর এই মন্তব্যের পর বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল। সেই সময় অবশ্য ওলার সিইও ভাবিশ আগরওয়াল, জিন্দল গোষ্ঠীﷺর প্রধান সজ্জন জিন্দল নারায়ণ মূর্তিকেই সমর্থন করেছিলেন।