ছেলে বুদ্ধ ধর্মাবলম্বী মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে বলে অভিযোগ। আর সেই ঘটনায় হাত থ𝓡াকার অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্ত বাবা তথা বিজেপি নেতার বিরুদ্ধেও। আর তার জেরেই দল থেকে বের করে দেওয়া হল নেতাকে। ঘটনাটি ঘটেছে লাদাখে। সেই কেন্দ্র শাস💮িত অঞ্চলের বিজেপি ভাইস প্রেসিডেন্ট নজির আহমেদকে দল থেকে বের করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। অভিযোগ, তাঁর ছেলে মঞ্জুর আহমেদ এক বুদ্ধ ধর্মাবলম্বী মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। ঘটনায় তাঁর বাবা নজির আহমেদেরও ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে লাদাখ বিজেপি সভাপতি ফুনচোক স্ট্যানজিন নজিরকে দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অপসারিত করেন এবং পরে দলে তাঁর প্রাথমিক সদস্যপদও খারিজ করে দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে গত বুধবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে লাদাখ বিজেপির সভাপতি ফুনচোক স্ট্যানজিন বলেন, 'এই ঘটনায় তাঁর ভূমিকার নিয়ে জবাদিহির জন্য পর্যাপ্ত সময় এবং সুযোগ দেওয়া হয়েছিল নজির আহমেদকে।🐈 তাঁর ছেলে মনজুর আহমেদ যেভাবে এক বুদ্ধ ধর্মাবলম্বী মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন, তা দুই ধর্মের মানুষের কাছেই খুব সংবেদনশীল বিষয় হয়ে উঠেছে। এই ঘটনা কোনও ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা লাদাখের ধর্মী সংহতিকে নষ্ট করেছে। এটা বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যকার ঐক্যে চিড় ধরিয়েছে। এই আবহে দলের রাজ্য ইউনিটের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর দায়িত্ব থেকে নজির আহমেদকে অবিলম্বে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গꩵৃহীত হয়েছে এক্সিকিউটিভ সদস্যদের বৈঠকে। বিজেপিতে তাঁর প্রাথমিক সদস্যপদও বাতিল করা হচ্ছে।'
এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে নজির আহমেদ বলেন, 'লাদাখে বিজেপিকে প্রতিষ্ঠা করার অন্যতম কাণ্ডারি ছিলাম আমি। থুপস্টান চেওয়াং, সেরিং দোরজে, ডঃ সোনম দাওয়াদের সঙ্গে মিলে এখানে আমি বিজেপিকে প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। আজ এভাবে আমাকে দল থেকে বের করে দেওয়ায় আমি হতবাক। আমার ছেলে আমাদের কথা না শুনে সেই মেয়ের সঙ্গে বিয়ে করেছে। আমি তো কিছু ভুল করিনি। আমাকে দল বলেছিল তাদের খুঁজে বের করতে হবে। আমি সেই মতো শ্রীনগর গিয়েছিলাম। আমি তাঁদের খোঁজে দিল্লিও যেতাম। আমি দলের একনিষ্ঠ কর্মী। আমি মোদীজির বন্ধু। এটা আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। আমার ছেলে যা করেছে, তার জন্য সে൩ দায়ী। আমি আর আমার স্ত্রী এই বিয়েতে মোটেও খুশি নই। আমি আমার অসন্তোষের কথা পার্টি হাইকমান্ডকে জানাব।'