শুক্রবারের প্রার্থনার পর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ফের মাথাচাড়া দিতে পারে বিক্ষোভ। সেই আশঙ্কায় আগামীকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েকটি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করল উত্তরপ্রদেশ সরকার।আগ্রা, মথুরা, ফিরোজাবাদ, সাহারানপুর, বিজনোর, বুন্দলশহর ও গাজিয়াবাদে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। হিংসা রুখতে লখনউ, কানপুর, মীরাট, রামপুর, বরেলি, মোরাদাবাদ, আলিগড়, মুজফ্ফরনগর, হাপুর ও আজমগড়েও বন্ধ থাকতে পারে ইন্টারনেট পরিষেবা।হিংসা রুখতে বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছে পুলিশ। ১৫টি হিংসা-কবলিত জেলা-সহ সব স্পর্শকাতর এলাকাতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গত সপ্তাহে শুক্রবারের প্রার্থনার পর ব্যাপক হিংসা ছড়িয়েছিল রাজ্যে। তাই কড়া নজরজারি চালাচ্ছে পুলিশ।আইজি (আইন-শৃঙ্খলা) প্রবীণ কুমার জানিয়েছেন, রাজ্যের সর্বত্র পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু কোনওরমক অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে পুলিশ। কয়েকটি জায়গায় বাড়তি বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। শান্তি বজায় রাখার জন্য জেলা পুলিশ প্রধানদের মুসলিম ধর্মগুরু, অনান্য ধর্মীয় নেতা, স্থানীয় নেতা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে শান্তি বৈঠকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।সেইমতো লখনউয়ের চক এলাকা, গোমতি নগর-সহ অনান্য এলাকাতে শান্তি বৈঠক হয়েছে। ফিরোজাবাদেও একইরকমভাবে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।এদিকে, রাজ্যজুড়ে হিংসার ঘটনায় দায়ের ৩২৭টি এফআইআরের তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশকে। সেই দলগুলির দায়িত্বে থাকবেন অ্যাডিশনাল সুপারিটেন়ডেন্ট অফ পুলিশ বা এএসপি পদমর্যাদার অফিসাররা।এনিয়ে এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক জানান, কমপক্ষে দুটি জেলাতে (কানপুর ও মীরাট) সিট গঠন করা হয়েছে। লখনই, ফিরোজাবাদ, বিজনোর, মুজফ্ফনগর ও সম্ভলেও সিট গঠন করা হতে পারে।সিট গঠনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন আইজি (আইন-শৃঙ্খলা)। তিনি জানান, হিংসা-কবলিত জেলাগুলিতে ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। হিংসার ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ হিসেবে ছবি ও ভিডিয়ো সংগ্রহের নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে দায়ের এফআইআরের ভিত্তিতে ১,১১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।ো