গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে ইকবাল হোসেন সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছিল এক যুবককে। পরে ধৃতকে কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হলে পুলিশ নিশ্চিত ভাবে জানায় যে সেই ধৃত মণ্ডপে কোরান রাখার ঘটনায় অভিযুক্ত ইকবাল হোসনই। পাশাপাশি পুলিশি জেরায় ইকবাল তার দোষ স্বীকার করেছে বলেও জানা গিয়েছে। তবে কার নির্দেশে এই কাজ সে করেছে, সেই বিষয়ে কোনও কথা সে বলেনি।হিংসার ঘটনা ঘটার পর কুমিল্লার পুজো মণ্ডপের বাইরে লাগানো এক সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, দুর্গাপুজোর অষ্টমীতে সেই মণ্ডপের সামনে রাখা হনুমানমূর্তির পায়ে কোরান রেখে হনুমানের গদাটি নিয়ে চলে যায় ইকবাল। অভিযুক্ত যুবক একজন ভবঘুরে বলে জানায় পুলিশ। বিভিন্ন মসজিদে, মাজারে দেখা যায় তাকে। এদিকে ইকবাল কারোর নাম না নিলেও স্থানীয় সংখ্যালঘুদের একাংশের মত, কয়েক মাস পরেই কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই আবহে সাম্প্রদায়িকতার আছিলায় রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেও এই ঘটনা হতে পারে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক রাজনীতির বৃহত্তর ষড়যন্ত্রও এই ঘটনার নেপথ্যে থাকতে পারে।ইকবাল ছাড়াও কুমিল্লায় সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় মোট ৭৯১ জনের নামে মামলা করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় মোট ৯টি মামলা রুজু হয়েছএ হিংসা সম্পর্কিত। জানা গিয়েছে মামলায় ৭০০ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে রাখা হয়েছে। তাছাড়া মামলায় নাম উল্লেখ রয়েছে ৯১ জনের।এর আগে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ আটক করা হয় ইকবালকে। এই যুবকই অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন কি না তা জানতে কুমিল্লা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাকে। পুলিশ জানায়, নোয়াখালি থেকে আসা একদল পর্যটক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি দেখে সৈকতে ইকবালকে সনাক্ত করে পুলিশকে খবর দেন। তারপরই সেখানে গিয়ে সেই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।