সমাজকর্মী তিস্তা সেতালবাদের জামিনের আবেদনের তালিকায় বিলম্ব ঘিরে গুজরাত হাইকোর্টকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এটাই কি গুজরাতꦉে চলে?’ ৬ সপ্তাহ আগে এই ইস্যুতে নোটিস যাওয়ার পর এই জামিনে📖র আবেদনের শুনানি ১৯ সেপ্টেম্বরের দিন ধার্য করা নিয়ে গুজরাত হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্ট।
এখানেই শেষ নয়। গুজরাত সরকারকে সিজেআই প্রশ্ন করেন, ‘গত দুই মাস ধরে কী ধরনের নথি আপনারা একত্রিত করছিলেন?’ বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট, সুধাংশু ধুলিয়া, ও প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের একটি বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। উল্লেখ্য, ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার মামলায় ‘নিরীহ মানুষদের’ কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর উদ্দেশে তথ্য প্রমাণ তছরুপের অভিযোগে ২৫ জুলাই গ্রেফতার করা হয় সমাজকর্মী তিস্তা সেতলবাদকে। সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছেন, যে এমন কোনও অলঙ্ঘনীয় নীতি নেই যে হাইকোর্টই জামিনের জন্য চূড়ান্ত আদালত হওয়া উচিত। পাশাপাশি গুজরাত সরকারকেও আদালত জানায়, মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রবেশ নির্ভর করে পরিস্থিতি ও ঘটনার ওপর। 'প্রশাসনের কাছে🐻 আবেদন করুন',কাশ্মীরি পণ্ডিত ইস🐼্যুতে কী জানাল সুপ্রিম কোর্ট?
উল্লেখ্য, এই মামলায় গুজরাত সরকারের তরফে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা অবতীর্ণ হন। তিনি বলেন, এই প্রথমবার কোনও জামিনের মামলায় তিনি সুপ্রিম কোর্টে মা🌜মলা উঠতে দেখছেন, যেখানে হাইকোর্টে মামলা এখনও রায়ই আসেনি। তারই জবাবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে পরিস্থিতির বিচারে সুপ্রিম কোর্টকে এই মামলার মধ্যে প্রবেশ করতে হয়েছে। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট গুজরাত প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন তোলে যে, গত ২ মাস ধরে জেলবন্দি তিস্তার থেকে জেরা করে কোন কোন তথ্য প্রশাসন পেরেছে? সবমিলিয়ে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য বেশ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।