সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনারের বক্তব্যের বিরোধিতা করে সোচ্চার হলেন ভারতীয় ইসকনের মুখপাত্র। গত কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশের চট্টগ্রামে হিন্দুদের ওপর হামলার অভিযোগ সামনে আসছে। এই আবহে ইসকনকে নিষিদ্ধ করারও ডাক দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশে। এই সবের মাঝেই চট্টগ্রামে উত্তেজনা ছড়ানোর নেপথ্যে ইসকন সদস্যদের দায়ী করেন পুলিশ কমিশনার। এই আবহে পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বারস্থ হল ইস্কনের পূর্বাঞ্চলীয় মুখপাত্র রাধারমণ দাস। (আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাবেন ৪ লাখ ডলার, তাঁর সরকারে পদ পাওয়া মাস্ক-বিবেকের🐲 বেতন কত)
আরও পড়ুন: 'যখন সপ্তাহে কর্মদিবস ৬ থেকে কমি🐭য়ে ৫ দিন করা হল...', ফের বিস্ফোরক নারায়ণ মূর্তি
এর আগে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার রইস উদ্দিন বলেছিলেন, 'সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন উস্কানিমূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে ওইসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ইসকনের লোকজনই জড়িত।' এই আবহে এবার মুখ খুললেন ভারতীয় ইসকনের মুখপাত্র। রাধারমণ দাসের কথায়, 'চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার সাংবাদিক বৈঠকে যা বলেছেন তা আশ্চর্যজনক। তিনি বলেছেন হিন্দুরা ওখানকার এক মুসলিম দোকানদারের গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়। তারা জয় শ্রীরাম স্লোগান দেয়। পুলিশ কমিশনারের দাবি ওই জনতা ইসকনের সদস্য। তিনি আরও দাবি করেছেন ইসকনের লোকজন মুসলিমদের উপরে হামলা চালাচ্ছে। ওই সাংবাদিক সম্মেলনে কার্যত ইসকনকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। ইস্কনকে জঙ্গি সংগঠনের তকমা দেওয়া হচ্ছে। মুসলিমরা ইসকন সদস্য়দের খুনের হুমকি দিচ্ছে। বাংলাদেশের পুলিস ইসকন নিয়ে যা বলেছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বড় কোনও ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আগে আমরা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছি তিনি যেন এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন।' (আরও পড়ুন: 'বাংল🔜াদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ না করলে হত্যাযজ্ঞ চলবে', চরম হুঁশিয়ারি ইউনুসকে)
আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশি হিন্দুদের নিয়ে ভারতের বলার দরকার নেই', বললেন ইউনুস সরকা🍒রের উপদেষ্টা
প্রসঙ্গত গত ৫ নভেম্বর বাংলাদেশের এক স্থানীয় ব্যবসায়ী ওসমান আলি ফেসবুকের ইসকন নিয়ে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি ইসকনকে 'জঙ্গি সংগঠনের' তকমা দেন। তাঁর এই পোস্ট দেখে ক্ষুব্ধ হয় চট্টগ্রামের হিন্দুরা। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ, সেনা পৌঁছয় চট্টগ্রামের হাজারি গলি এলাকায়। সেই এলাকাটি চট্টগ্রামের হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা বলে পরিচিত। সেখানে প্রায় ১০০ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই আবহে সেনার বিরুদ্ধে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ তোলা হয়। এই নিয়ে এক সিসিটিভি ফুটেজও সামনে আসে (যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি)। সেখানে দেখা যায় বাংলাদেশ সেনার জওয়ানরা নিজেরাই খালি রাস্তায় তাণ্ডব চালাচ্ছেন। (আরও পড়ুন: সামনে বিস্ফোরক ভিডিয়ো, দেরাদুন দুর্ঘꦅটনায় মৃত ৬ পড়ুয়ার পরিবার কেন FIR করেনি এখনও)
আরও পড়ুন: 'কয়েকজন কুম্ভকর্ণ...', বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ! 'চটলে๊নಌ' দলেরই নেতাদের ওপরে
এই আবহে বাংলাদেশের চট্টোগ্রামে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের হস্তক্ষেপ দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিকে চট্টগ্রাম কাণ্ডের আবহে বাংলাদেশের🀅 ইউনুস সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়, 'বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৃঢ় পদক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়ে সেদেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ভারত।'