এবার গোটা গাজা উপত্যকা দখল ও নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে ইজরায়েলের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা। সেই সঙ্গে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের পরিসর আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে তাঁরা।নতুন কৌশল অনুসারে, ইজরায়েল সেনাবাহিনী গাজার বেশ কয়েকটি অংশে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে এবং সাধারণ নাগরিকদের দক্ষিণে স্থানান্তর করা হবে। অভিযানে মূল লক্ষ্য হবে হামাসের পরিকাঠামো ধ্বংস করা এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে মানবিক সাহায্যের উপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করা থেকে বিরত রাখা। (আরও পড়ুন: গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মুখোমুখি মোদী-রাহুল গান্ধী, সহমত হতে পারলেন না দুই নেতা)
আরও পড়ুন-ট্রাম্প-হার্ভার্ড সংঘাত আরও তীব্রতর! বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুদান বাতিল, প্রতিবাদও
আরও পড়ুন: ভারত-পাক উত্তেজনা বৃদ্ধির মাঝে 'টপকে পড়ল' বাংলাদেশ, কী কথা হল ঢাকা-ইসলামাবাদের?
দুই ইজরায়েলি কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, শীঘ্রই পুরো গাজা উপত্যকা দখল করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ওই অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করার পরিকল্পনা করছে ইজরায়েল। এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে প্যালেস্টাইনের ভূখণ্ডে ইজরায়েলের অভিযান ব্যাপকভাবে প্রসারিত হবে। সোমবার ভোররাতে ভোটাভুটির পর এই পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে সে দেশের মন্ত্রিসভা। এদিকে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক্সে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ইজরায়েল সেনাবাহিনী এখনও পর্যন্ত গাজার যেসব অঞ্চল দখল করেছে সেখান থেকে তারা আর সরবে না। এর বদলে সেনারা স্থায়ীভাবে সেখানে থাকবে।পাশাপাশি গাজায় হামলা আরও তীব্র করার হুমকি দিয়েছেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, এখন থেকে সেনারা গাজায় প্রবেশ করে আর বেরিয়ে যাবে না। তারা সেখানে সবসময় থাকবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে। (আরও পড়ুন: বদলাচ্ছে সমীকরণ? ভারতের এককালের বন্ধুর সঙ্গে বৈঠকে পাক সেনা প্রধান অসিম মুনির)
আরও পড়ুন: 'পাকিস্তানে নয়', ভারত হামলা করবে... বড় দাবি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট জানার জন্য ক্লিক করুন এই লিংকে
ঘটনাচক্রে, কয়েক হাজার সেনাকে মোতায়েন করার ইজরায়েলি সামরিক প্রধানের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই গাজা দখলের নতুন পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে ইজরায়েল।সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত গাজার মোট অঞ্চলের তিনভাগ দখল করে ফেলেছে ইজরায়েলি বাহিনী। সেখান থেকে গাজাবাসীদের সরিয়ে দিয়ে ওয়াচ টাওয়ার এবং নজরদারি চৌকি তৈরি করেছে তারা। এবার গোটা গাজা দখলের পথে হাটছে তারা।আগামী ১৩ থেকে ১৬ মে'র মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের কথা রয়েছে। তার আগে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে না বলে জানিয়েছেন ইজরায়েলের এক ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা।এদিকে ইজরায়েলকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, ইজরায়েলের সম্প্রসারিত সামরিক হামলা প্যালেস্টাইনের জনগণের জন্য আরও প্রাণহানি ও দুর্ভোগের কারণ হতে পারে।যদিও ইজরায়েলি মন্ত্রিসভার দাবি, তারা আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলছে এবং গাজায় এখনও পর্যন্ত কোন ত্রাণ সহায়তার ঘাটতি দেখা যায়নি। (আরও পড়ুন: পাকিস্তানের আগে দেশের ভিতরে '০.৫ ফ্রন্টে' লড়বে মোদী সরকার?)
আরও পড়ুন: সিন্ধু চুক্তি নিয়ে নয়া পদক্ষেপের পথে ভারত, বড় বার্তা দিতে পারে বিশ্বব্যাঙ্ককে
উল্লেখ্য, পণবন্দিদের মুক্তি নিয়ে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পরে মার্চে যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইজরায়েলি সেনা গাজায় হামাস-বিরোধী অভিযান শুরু করেছিল। পরে হামাস ইজরায়েলি পণবন্দিদের ফেরাতে রাজি হলেও ইজরায়েল আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।