শেয়ার বাজারে শোচনীয় অভিষেক হল পেটিএমের। প্রথমদিনেই পেটিএমের মূল সংস্থা ওয়ান৯৭ কমিউনিকেশনের শেয়ার ২৭ শতাংশের বেশি পড়ল। তাতে অবশ্য আশাহত হচ্ছেন না পেটিএমের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও বিজয় শেখর শর্মা। একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি দাবি করলেন, এটা একাধিক টেস্ট ম্যাচের সিরিজ। একটি বা দুটি উইকেট পড়লেই সিরিজ শেষ হয়ে যায় না। এনটিভিতে পেটিএমের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও বলেন, ‘একদিনের ক্ষতির মাধ্যমে পুরো ছবিটা তুলে ধরা যায় না। পেটিএমের ব্যবসায়িক মডেল ভালোভাবে ব্যাখ্যার জন্য আমাদের ভালোভাবে কাজ করতে হবে। এটা সবে আমাদের প্রথম দিন। আয়ের (নিরিখে) আমরা বড় হচ্ছি, ব্যবধানের (নিরিখেও) আমরা বড় হয়ে উঠছি।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘এটা একাধিক টেস্ট ম্যাচের সিরিজ। একটি বা দুটি উইকেট পড়লেই সিরিজ শেষ হয়ে যায় না।’বৃহস্পতিবার শেয়ার বাজারে অভিষেক হয়েছে পেটিএমের। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে ন'শতাংশ ছাড় দিয়ে পেটিএমের প্রতিটি শেয়ারের দাম ধার্য করা হয়। অর্থাৎ প্রতিটি ইক্যুইটি শেয়ার নথিভুক্ত করা হয় ১,৯৫০ টাকায়। তিনদিনের আইপিওতে অবশ্য প্রতিটি শেয়ারের দর ২,১৫০ টাকা পড়ছিল। দিনের শেষে তা ২৭.৪৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১,৫৬০টাকা। অন্যদিকে, স্টক এক্সচেঞ্জে প্রতিটি শেয়ারের দাম ধার্য করা হয় ১,৯৫৫ টাকা। বাজার বন্ধের সময় তা ২৭.২৫ শতাংশ কমে হয়েছে ১,৫৬৪.১৫ টাকা।পেটিএমে কি শেয়ার ধরে রাখা উচিত?ট্রেডিনগোর প্রতিষ্ঠাতা পার্থ ন্যাতি জানিয়েছেন, সংস্থা থেকে মুনাফা হচ্ছে না। বরং ক্ষতির মুখ দেখছে ভারতের মোবাইল পেমেন্ট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা। সেই পরিস্থিতিতে অদূর ভবিষ্যতে যে পেটিএম লাভজনক সংস্থা হয়ে উঠবে, সেরকম কোনও ইঙ্গিত মিলছে না। দীর্ঘকালীন সময়ের দিকে তাকিয়ে আগ্রাসী লগ্নিকারীরা পেটিএমে টাকা রেখে দিতে পারেন। যাঁরা নয়া বিনিয়োগকারী, তাঁরা অন্য সংস্থার দিকে নজর দিতে পারেন। যেগুলি পেটিএমের থেকে ঢের ভালো ফল পাচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘আমাদের মনে হয়, ব্র্যান্ডের কারণে বেশি দামের দিকে ঝুঁকেছে সংস্থা (পেটিএম)। অদূর ভবিষ্যতে সংশোধন দেখা যেতে পারে।’ একই কথা বলেছেন স্বস্তিকা ইনভেস্টমার্ট লিমিটেডের রিসার্চের হেডের সন্তোষ মীনা। তিনি জানান, অনিশ্চয়তার মধ্যেই দীর্ঘকালীন সময়ের কথা বিবেচনা করে আগ্রাসী লগ্নিকারীরা টাকা রেখে দিতে পারেন। তাঁর মতে, পেটিএমের পরিবর্তে বাজাজ ফিনসার্ভে টাকা ঢাললে বেশি ভালো হবে। কারণ পেটিএমের নিরিখে বাজাজ ফিনসার্ভের ট্র্যাক রেকর্ড ঢের ভালো।(বিশেষ দ্রষ্টব্য: বিশেষজ্ঞদের মত একান্তই ব্যক্তিগত। তা হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার মত নয়। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিবেদকের মত নেই সেগুলি।)