২০০৩ সালের ১৪ মার্চ ধরা পড়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা আবদুল্লাহ আয়ুব। মাঝে ২০টা বছর কেটে গিয়েছে। এই ২০২৩ সালে জেল থেকে মুক্তি পেলেন🍒 তিনি। অভিযোগ উঠেছিল তিনি নাকি ২৫ গ্রাম হেরোইন পাচার করছিলেন। তার দাম নাকি ১ কোটি। আর ২০ বছর লাগল এটা প্রমাণ করতে যে আসলে ওটা হেরোইন ছিল না, সাধারণ পাউডার ছিল। কয়েকজন পুলিশ কর্মী তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দি🌳য়েছিল। এমনকী নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টও তারা কারচুপি করত বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত তিনি বেকসুর খালাস পেলেন।
আয়ুবের আইনজীবী প্রেম প্রকাশ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, খুরশিদ নামে এক পুলিশ কনস্টেবল ভাড়া থাকত আয়ুবের বাড়িতে। কিন্তু তিনি ভাড়া দিতেন না। এরপর আয়ুব তাকে ভাড়া থেকে উঠিয়ে দেন। আর 🐽সেই রাগে প্রতি✨শোধ নেওয়ার জন্য তিনি এরপর আয়ুবকে মিথ্য়া মামলায় ফাঁসিয়ে দেন বলে অভিযোগ। ইন্ডিয়া টুডেকে এমনটাই জানিয়েছেন ওই আইনজীবী।
এরপর মিথ্য়ে হেরোইনের কꦰেস দেওয়া হয় তাকে। এমনকী ফরেনসিক প্রমাণেও কারচুপি করা হয়। একটি ফরেনসিক ল্য়াব শুনানিতে জানিয়েছিল ওটা হেরোইন ছিল। পরে আবার সেটা ফের পরীক্ষার জন্য সেই নমুনা লখনউতে পাঠানো হয়েছিল। এরপর সেখ꧅ানে আবার দেখা যায় সেটা হেরোইন নয়।
ফের দিল্লিতཧে পাঠানো হয়েছিল সেই নমুনা। সেখানকার প্রমাণপত্রে কারচুপি করেছিল পুলিশ।সেখানকার প্রমাণপত্রে আবার বলা হয় এটা হেরোইন। শেষ পর্যন্ত লখনউয়ের বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দেন, এটা হেরোইন নয়। এটা ক্রমে বাদামি রঙের হচ্ছে। কিন্তু হেরোইনে কোনও অবস্থাতেই রঙের পরিবর্তন হবে না।
এদিকে বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণের পরে বিচারপতি বিজয় কুমার কাট💯িয়ার ওই ব্যক্তিকে মুক্তি দিয়েছেন। তাঁর পর্যবেক্ষণ পুলিশ পুরোপুরি ভুলভাবে পরিচালিত করেছিল আদালতকে। এনিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত।
তবে তার মধ্য়েই ওই ব্যক্তির ২০ টা 🦹বসন্ত কেটে গিয়েছে জেলের গরাদের আড়ালে।