কাশ্মীরে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয় শুধুমাত্র নোংরা ছবি দেখার জন্য। সম্প্রতি উপত্যকায় নেট পরিষেবা বন্ধ থাকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে এমনই কটাক্ষ হানলেন নীতি আয়োগ সদস্য ভি কে সারস্বত।এএনআই জানিয়েছে, শনিবার গুজরাতের গান্ধীনগরে ধিরুভাই আম্বানি ইনস্টিটিউট অফ ইনফর্মেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি-এর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে এসে সাংবাদিকদের সারস্বত বলেন, ‘রাজনীতিকরা কেন কাশ্মীরে যেতে চাইছেন? দিল্লির রাস্তায় যে বিক্ষোভ চলছে, তাঁরা তা কাশ্মীরে চালু করার চেষ্টা করছেন। প্রতিবাদে হাওয়া দিতে তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নেন। কাশ্মীরে ইন্টারনেট না থাকলে কী এসে যায়? সেখানে কোন ই-বাণিজ্য হচ্ছে? নোংরা ছবি দেখা ছাড়া তা কোনও কাজে লাগে না।’ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ভাষণে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে ইন্টারনেটের উপকারিতা সম্পর্কে বললে সাংবাদিক সম্মেলনে সারস্বতকে প্রশ্ন করা হয়, জম্মু ও কাশ্মীরে তা হলে কেন এই পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে? তার জবাবেই নোংরা ছবি দেখার প্রসঙ্গ টেনে আনেন নীতি আয়োগ সদস্য।গত ৫ অগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের জেরে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার এবং ওই রাজ্যকে দ্বিখণ্ডিত করে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের সময় থেকেই উপত্যকায় ইন্টারনেট পরিষেবার উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপায় কেন্দ্র।শনিবার জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন ২টি মোবাইল ডেটা পরিষেবা চালু করলেও তাতে শুধুমাত্র ১৫৩টি চিহ্নিত ওয়েবসাইটে পৌঁছনোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জম্মু বিভাগের সব জেলা এবং কাশ্মীরের মাত্র দু’টি জেলায় আপাতত এই পরিষেবা দেওয়া হয়েছে।গত মঙ্গলবার রাতে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা ফের চালু করা হলেও ইউজারদের সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটগুলির নাগাল দিতে নারাজ সরকার।