ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বাসভবন থেকে একটি নীল বিএমডব্লু গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। নয়াদিল্লির বাসভবন থেকে বিলাসবহুল গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কিন্তু এই গাড়িটি কার? এমন প্রশ্নেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে ইডি অফিসারদের কাছে। কারণ ইডি যে নথি হাতে পেয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, গাড়িটি একটি💜 কোম্পানির নামে কেনা হয়েছে। যা কিনা কংগ্রেস সাংসদ ধীরাজ সাহুর সঙ্গে জড়িত। শুধু তাই নয়, এই গাড়িটি কেনার পর তা হস্তান্তর করা হয়েছিল ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে। এমন নথি পেয়েছে ইডি।
এদিকে কেন্দ্রীয় সংস্থা বিক্রি হওয়া গাড়ির নথি বাজেয়াপ্ত করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গাড়িটি কোম্পানির নামে কেনা হয়েছে। আর ওই কোম্পানির অফিস কংগ্রেস সাংসদ ধীরাজ সাহুর বাড়ির নীচে। তদন্তে নেমে ইডি বেশ কয়েকজনের মোবাইল, ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে। সেখানে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের হদিশ পেয়েছে। যেখানে ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটি নাম ‘ইডি–এইচ সোরেন কার’। এই গ্রুপ ঘেঁটে একটি চ্যাট হাতে পেয়েছেন ইডি অফিসাররা। যেখানে বলা হয়েছে, গাড়ি হেমন্ত সোরেনের বাড়িဣতে পাঠানো হয়েছে—এই কথাটি ডিলিট করা হোক। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন গ্রেফতার হওয়ার আগে বলেছিলেন, তিনি কোনও বিএমডব্লু গাড়ি কেনেননি। সেই তথ্য এখন উঠে আসছে।
অন্যদিকে গত ৩১ জানুয়ারি হেমন্ত সোরেন গ্রেফতার হন। তার আগে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছিলেন তিনি। যেখানে তিনি স্পষ্ট করেছেন, কোনও বিএমডব্লু গাড়ি তিনি কেনেননি। এবার সেই তথ্য মিলে যাওয়ায় ইডি তলব করে কংগ্রেস সাংসদ ধীরাজ সাহুকে। কারণ নথি কংগ্রেস সাংসদের যুক্ত থাকার কথাই বলছে। যদিও জেরায় কংগ্রেস সাংসদ জানান, তিনি এই গাড়িটি কেনেননি। ইডি সূত্রে এমন খবরই মিলেছে। তাহলে এই গাড়িটি কার? ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে এই প্রশ্নে। এখন হেমন্ত সোরেনের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজ চলছে। তার মধ্যেই এই♚ বিএমডব্লু গাড়ি সব♒ ঘেঁটে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কোমা থেকে ফিরলেন গুজরাট🙈ের বধূ, কলকাতায় 💮কেটে গেল ১১ বছর, এবার ফেরা
এছাড়া হেমন্ত সোরেনের হেফাজতের মেয়াদ বাড়াতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে ইডি। সেখানে বলা হয়েছে, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি একাধিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত। আর এই ব্যক্তি নিজের পদের অপব্যবহার করেছেন। এই অপব্যবহার করে প্রামাণ্য তথ্য ধ্বংস করতে পারেন। এই মামলার সঙ্গে জড়িত নথির ধ্বংস করতে পারেন। তাই তাঁর সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত চলছে। এখানে অর্থ লেনদেনের যোগ আছে। এই কারণে পিএমএলএ ২০০২ অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হোক। গত ৭ ফেব্র⛎ুয়ারি নতুন করে তল্লাশি করা হয়েছে। তাতে নতুন তথ্য হাতে এসেছে। হাতে আসা তথ্যপ্রমাণ এই ব্যক্তির যুক্ত থাকার সাক্ষ্য বহন করছে।’ গোটা বিষয়টি ইডি আদালতকে জানিয়েছে।