ওয়🧸াকফ বিল নিয়ে আলোচনার সময় রক্ত ঝরল তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ওয়াকফ বিল নিয়ে সংসদ ভবনে যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) বৈঠকের সময় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ। শুরু হয়ে যায় ঝামেলা। তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের মধ্যেই একটি কাচের জলের বোতল তুলে নেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ। আর রেগে গিয়ে টেবিলে মেরে বসেন। সেইসময় তাঁরই চোট লেগে যায়। পরবর্তীতে তাঁকে ধরে-ধরে বের করে নিয়ে আসেন হায়দরাবাদের এআইএমআইএমের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। সেইসময় কল্যাণের ডান হাতের বুড়ো আঙুল এবং কড়ে আঙুলে ব্যান্ডেজ দেখা গিয়েছে। মুখ দেখে মনে হয়েছে যে বেশ যন্ত্রণা হচ্ছে। সূত্রের খবর, আঙুলে চারটি সেলাই পড়েছে। যদিও কল্যাণ নিজে সেই বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। ♈কোনও মন্তব্য করেননি অভিজিৎও।
কী নিয়ে কল্যাণ এবং অভিজিতের মধ্যে কথার লড়াই শুরু হয়?
সূত্র উদ্ধৃত করে এএনআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ওয়াক💎ফ বিল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে অনেকে হাজির ছিলেন। অন্যের কথা বলার সময় কিছু একটা বলার চেষ্টা করেন কল্যাণ। তাতে আপত্তি জানান অভিজিৎ। ততক্ষণে কল্যাণ তিনবার বলে ফেলায় অভিজিৎ আপত্তি জানান।
সংসদেও কল্যাণ বনাম অভিজিৎ
সেই পরিস্থিতিতে অভিজিতের সঙ্গে কল্যাণেꦫর উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয়ে যায় বলে সূত্র উদ্ধৃত করে এএনআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, দু'জনেই অসাংবিধানিক শব্দপ্রয়োগ করেন। যে দু'জনের মধ্যে আগেও একাধিকবার সংঘাত হয়েছে। লোকಞসভা নির্বাচনের আবহে একে অপরকে আক্রমণ এবং পালটা আক্রমণ শানিয়েছিলেন। আর সেই সংঘাত যখন সংসদে পৌঁছাল, তখন রক্ত ঝরল কল্যাণের।
কল্যাণের হাতে পড়ল ৪টি সেলাই
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্র উদ্ধৃত করে এএনআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কথার যুদ্ধের মধ্যেই কল্যাণ মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। টেবিল থেকে কাচের জলের বোতল তুলে নেন কল্যাণ। আর নিজের হাতেই মেরে দেন। তারপর তিনি নাকি যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানের দিকে ভাঙা কাচের বোতল ছোড়ার চেষ্টা করেন। সেই পরিস্থিতিতে কিছুক্ষণের জন্য বৈঠক স্থগিত রাখা হয়। ততক্ষণে কল্যাণের ফার্স্ট-এড দেওয়া হয়। হাতে চারটি সে📖লাই পড়েছে। একটি মহলের দাবি, কল্যাণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: Aniket vs Asfakulla: ‘বলতে দিলে তো বলব’- আসলে মমতার উদ্দেশ্যꦅে সেটা বলেননি অনিকেত! নিশানায় ডাক্তারই?