গতকালই এক মর্মান্তিক ঘটনায় জঙ্গিদের হাতে খুন হন কাশ্মীরি পণ্ডিত রাহুল ভাট। আর এরপরই তাঁর আত্মীয়দের গলায় শোনা গেল প্রশাসনের প্রতি বিতৃষ্ণা ও অবিশ্বাস ভরা সুর। একদিক😼ে যেখানে মৃত রাহুল ভাটের বাবা এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন। অপরদিকে রাহু𝐆লের অপর এক আত্মীয়র বক্তব্য, লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন যে এখানে কতটা স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে পেরেছে, এটা তারই নমুনা।
এদিকে রাহুলের বাবা বিট্টাজি ভাট এদিন তাঁর ছেলের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, সরকারি তেহসিল অফিসে ঢুকে কে কী করে এই হত্যাকাণ্ড চালাতে পারে? দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি তোলেন তিনি। ꦫজানা গিয়েছে, ১৯৯০ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের গণহত্যার সময়কালে উপত্যকা ছেড়ে দুর্গানগরে বসবাস শুরু করেছিলেন বিট্টাজি ও তাঁর পরিবার। বিট্টাজি নিজে পুলিশে চাকরি করতেন এবং এএসআই পদমর্যাদার অফিসার হয়ে অবসর গ্রহণ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ে ভেঙে পড়ল হেলিকপ্টার, মৃত্যু ২ পাইলটের
এদিকে রাহুল ভাট ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থার প্যাকেজের অধীনে চাকরি পেয়েছিলেন। তখন থেকেই রাহুল তাঁর স্ত্রী এবং সাত বছরের কন্যা সন্তানের সঙ্গে শেখোপোড়ায় থাকেন। রাহুলের ভাই সানি পুলিশে চাকরি করেন। এই আবহে রাহুলের মৃত্যু প্রসঙ্গে তাঁর বাবা বলেন, 'আমি এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ🍬্খ তদন্ত চাই। কীভাবে সন্ত্রাসীরা একটি সরকারি অফিসে ঢুকে আমার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করল! সরকার উপত্যকায় পণ্ডিতদের পুনর্বাসনের কথা বলে কিন্তু সরকারি দফতরে পণ্ডিত কর্মীরা নিরাপদ নয়।'
এই ঘটনার পর রাহুলের এক আত্মীয় হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, 'সন্ত্রাসীরা রাহুলকে তাঁর অফিসের ভিতরে গুলি করে হত্যা করল এবং এই প্রশাসন নির্লজ্জভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কর্মচারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ দেওয়ার ভুয়ো দাবি করে আসছে।' এদিকে তোপের মুখে পড়লেও সন্ত্রাসবিরোধী কঠোর পদক্ষেপের কথা বলেছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি টুইট করে লেখেন, 'বুদগামে সন্ত্রাসীদের হাতে রাহুল ভাটের বর্বর হত্যার তীব্র নিন্দা জানাই আমি। যারা এই ঘৃণ্য সন্ত্রাসী হামলার পিছনে রয়েছে তারা শাস্তি পাবে। জম্মু ও কাশ্মীর সরকারꦦ শোকের এই মুহুর্তে শোকাহত পরিবারের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।' এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের বিজেপি প্রধান রবিন্দর রায়নাও বলেন, 'এই ঘটনার নেপথ্যে থাকা জঙ্গিদের দ্রুত খতম করা হবে।'