শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে শনিবার বিজয়া দশমী পালন করলেন মাইসোর রাজ 🦄পরিবারের বর্তমান 'রাজা' যদুবীর কৃষ্ণদত্ত চামারাজা। মাইসোর রাজ প্রাসাদ চত্বরেই প্রথা মেনে 'বন্নি পুজো' করলেন তিনি।
এই অনুষ্ঠানের সময় যদুবীরের পরনে ছিল জমকালো রাজ পোশাক - কারুকার্য করা শেরওয়ানি, পেল্লায় আকারের পাগড়ি এবং সোনার গয়না। যদুবীর হলেন ইয়াদা রাজবংশের ২৭তম রাজা। শনিবার তাঁকে যাবতীয় রীতিন💟ীতি মেনে পুজো করতে দে༺খা যায়।
রাজ দরবারের পণ্ডিত, প্রাসাদের মধ্যেকার মন্দিরের পুরোহিত, প্রাসাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং♉ রাজ পরিবারের সদস্যরা এই বিরাট বার্ষিক আয়োজনের সাক্ষী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে অনেককে উচ্চ কণ্ঠে 'রাজা'র আশীর্বাদ চাইতেও দেখা যায়।
বিজয়া দশমীর এই🦋 অনুষ্ঠান উপলক💝্ষে প্রাসাদের ভিতর কুস্তি লড়াইয়ের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় ভাষায় যাকে বলা হয়, 'বজ্রমুষ্টি কালাগা'। এটি একটি অতি প্রাচীন পরম্পরা। যা মাইসোরের রাজ পরিবারের মধ্যে প্রচলিত ছিল।
এই প্রথাকে যাঁরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে মানেন, তাঁদের বিশ্বাস, এই কুস্তির মাধ্যমেই মহাভারতের সময়কার চরিত্র কৃষ্ণের সঙ্গে মাইসোর ♐রাজ পরিবারে🔜র সম্পর্ক প্রমাণিত হয়। কুস্তি যখন চলে, তখন সাধারণ দর্শকরা সেই প্রতিযোগিতাস্থল গোলাকারভাবে ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং চিৎকার করে দুই কুস্তিগীরকেই লড়তে উৎসাহিত করেন।
বিজয়া দশমী উপলক্ষে রাজ পরিবারের তরফ থেকে নানা ধরনের রীতিনীতি পালন করার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্𒉰ঠানেরও আয়োজন কর😼া হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা সেইসব অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকেন।
প্রসঙ্গত, মাইসোর হল কর্ণাটকের সাংস্কৃতিক পীঠস্থান। দুর্গা𒁏পুজো উপলক্ষে প্রতি বছর এই শহরে ১০ দিন ধরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিজয়া দশমীতে যার পরিসমাপ্তি ঘটে ꦫএক সুদীর্ঘ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে।
সংশ্লিষ্ট ১০ দিন শহরে আয়োজিত সমস্ত অনুষ্ঠানের কেন্দ্রস্থল হল মাইসোর রাজ প্রাসাদ। যাঁকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয়, ღআম্বা ভিলাস প্যালেস। মাইসোর রাজের রাজধানীতে অবস্থিত সাতটি প্রাসাদে🦩র মধ্যে যা অন্যতম।
১০ দিনের উৎসব চলাকালীন এই প্রাসাদকে আগাগোড়ায় আলোর মালায় সাজিয়ে তোলা হয়। যার জেরে রাজকীয় এই স্থাপত্যের জৌলুস আরও বাড়ে। রাজ্যের প্𓃲রধান কর্তা সমস্ত অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেন। শোভাযাত্রাও আয়োজিত হয় তাঁরই নেতৃত্বে। সেই পদযাত্রায় ঘোড়া, হাতির পাশাপাশি রাজ আমলে ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র, যেমন তলোয়ার ইত্যাদি প্রদর্শিত হয়। শোভাযাত্রার আগে অবশ্য অসংখ্য সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় আচার পালন করা হয়।