আরিয়ান প্রকাশকলকাতা চেন্নাই স্বর্ণ চতুর্ভুজ প্রকল্পের আওতায় থাকা চাঁদিখোল থেকে ভদ্রক পর্যন্ত অংশটিকে সংস্কার করার উদ্যোগ নিল মোদী সরকার।এই রাস্তার মধ্যে পড়বে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু। এই রাস্তা ওড়িশার উপকূল এলাকা দিয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি টুইট করে একথা জানিয়েছেন। এই রাস্তা দিয়ে আন্তঃরাজ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হবে। মূলত ফসল পরিবহণের ক্ষেত্রে সুবিধা দেবে এই রাস্তা। পাশাপাশি শিল্প সামগ্রী ও খনিজ সামগ্রী পরিবহণের ক্ষেত্রেও সুবিধা দেবে এই রাস্তা। একাধিক পর্যটনক্ষেত্রকেও ছুঁয়ে যাবে এই রাস্তা। মা বিরজা মন্দির, শ্বেতা বরাহ, ভদ্রকালী মন্দির, ধামনগর, ধামরা পোর্ট, চন্দাবলী নদী বন্দরকে ছুঁয়ে যাবে এই রাস্তা।গডকড়ি টুইট করে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আমাদের ট্রাফিককে আরও সাবলীল করার চেষ্টা করছি। এই উন্নতিকরণের মাধ্যমে ওই এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নও হবে। আন্তঃরাজ্য মালপত্র বহন ও যাত্রী পরিবহণেরও উন্নতি হবে এই নয়া উদ্যোগের মাধ্য়মে। সোনালি চতুর্ভুজ প্রকল্প ভারতের দীর্ঘতম হাইওয়ে নেটওয়ার্ক। সব মিলিয়ে এর দৈর্ঘ্য ৫৮৪৬ কিমি। বিশ্বের দীর্ঘতম হাইওয়ের মধ্য়ে এটি পঞ্চমতম। এটি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর স্বপ্নের প্রকল্প। ১৯৯৯ সালে তিনি এই সড়ক তৈরির শিলান্যাস করেছিলেন। মূলত চারটি মেট্রো সিটিকে সংযোগ করেছে এই প্রকল্প। দিল্লি, কলকাতা, মুম্বই ও চেন্নাইকে সংযোগ করবে এই রাস্তা। প্রাথমিকভাবে ৬০০ বিলিয়ন বাজেট দিয়ে এই প্রকল্পর কাজ শুরু হয়েছিল। তবে জমি অধিগ্রহণের ইস্যুতে এই প্রকল্পের কাজ কিছুটা পিছিয়ে যায়। ২০০১ সালে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। এরপর ২০১২ সালে ৩০৮ বিলিয়ন দিয়ে এই কাজ অনেকটাই শেষ হয়। ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিয়ে এই রাস্তা গিয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এই রাস্তা তৈরির প্রকল্প রূপায়িত করেছে। কলকাতা থেকে দিল্লি পর্যন্ত এই রাস্তার দূরত্ব ১৫৬৩ কিমি, দিল্লি থেকে মুম্বই পর্যন্ত এর দূরত্ব ১৪১৯ কিমি, মুম্বই থেকে চেন্নাই পর্যন্ত এর দূরত্ব ১২৯০ কিমি ও কলকাতা থেকে চেন্নাই পর্যন্ত এর দূরত্ব ১৬৮৪ কিমি। এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup