পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিনের সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন হয়ে এসেছে বলে দাবি করা হল টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের এপ্রিলের আগে যেখানে যার অবস্থান ছিল, প্রায় সেখানেই ফিরে গিয়েছে ভারত ও চিনা সেনার জওয়ানরা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে যে সব অস্থায়ী তাঁবু খাটানো হয়েছিল, তা খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাহলে এরপর কী হবে? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া দুই পক্ষের তরফ থেকই সঠিক ভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে কি না, তা এবার যাচাই করা হবে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে জওয়ানদের পাঠিয়ে এবং ড্রোনের মাধ্যমে এই যাচাই পর্ব চলবে। (আরও পড়ুন: পরপর পিছনে ধাಞক্কা𒆙! স্কুটারকে পাশ দিতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়)
আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেনে বিস্ফোরণ, ෴কামরায় লাগল আগুন, আতঙ্কিত যাত্রীদের ঝাঁপ চলন্ত ট্রেন থেকে
এদিকে দাবি করা হয়েছে, এই মাসের শেষেই ডেপস্যাং এবং ডেমচকে শুরু হয়েছে যাবে দুই দেশের সেনার টহল। উল্লেখ্য, প্রায় পাঁচ বছর পরে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলদারি নিয়ে জট কেটেছে। এর আগে ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, ডেপস্যাঙে ভারতের টহলের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে চিন। ওপরে রিপোর্টে দাবি করা হয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পশ্চিম দিকে ভারত নিয়ন্ত্রিত এলাকায় 'বটলনেক' অঞ্চলে টহলদারির ক্ষেত্রে ভারতকে আর বাধা দেবে না চিন। এই 'বটলনেক' অঞ্চলটি ভারতের দাবি জানানো এলাকার ১৮ কিলোটিমার ভিতরে বলে জানা যায়। (আরও পড়ুন: মꦓধ্যরাতে আতশবাজি থেকে দুর্ঘটনা মন্দিরে, আহত ১৫০, ৮ জনের অবস্থ🌼া সঙ্কটজনক)
আরও পড়ুন: 'সরকারের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রেখেছেন SEBI ꦯপ্রধান', আদানিকে টেনে বিস্ফোরক মহুয়🍌া
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরেই ডেপস্যাং এবং ডেমচকে ভারতীয় সেনাকে টহলে বাধা দিচ্ছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ। তবে রিপোর্টে দাবি করা হয়, এই দুই জায়গায় ভারতীয় সেনার টহলদারির অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহেই। রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, ডেমচকে এর আগে চিন তাঁবু খাটিয়ে বসেছিল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ভারতীয় দিকে। তবে সেই সমস্যা কিছু দিন আগেই মিটেছে। তবে এরই মধ্যে ডেপস্যাঙের সমস্যারও সমাধাম সূত্র বেরিয়ে আসে সামরিক পর্যায়ের আলোচনায়। উল্লেখ্য, এই ডেপস্যাঙের ওয়াই জংশনে স্থায়ী স্থাপত্য গড়েছে চিনা সেনা। এই ওয়াই জংশন হয়েই প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১১, ১১এ, ১২ এবং ১৩-তে যেতে হয় ভারতীয় সেনাকে। রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, ২০২০ সালের এপ্রিলের আগের অবস্থাতেই ফিরছে ডেপস্যাং এবং ডেমচক। এই আবহে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন। এর ফলে ভার🎃ত ও চিনের মধ্যে সম্পর্কের চিড় কিছুটা মিটতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।