প্রথমে শারীরিক কারণে আসতে বারণ করা হয়েছিল। তবে হিন্দুত্ববাদীদের মধ্যে তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। এই আবহে পরবর্তীতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে আমন্ত্রণপত্র হাতে পেয়েও অযোধ্যার রামমন্দিরে গেলেন না লালকৃষ্ণ আডবানি। রাম জন্মভূমি আন্দোলনের 'মুখ' ছিলেন আডবানি। বিজেপিকে ২ সাংসদের দল থেকে ৩০০ সাংসদের 'বুলডোজার' তৈরির করার নেপথ্যে তাঁর ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। তবে এহেন আডবানি থাকলেন না 'প্রাণপ্রতিষ্ঠা' অনুষ্ঠানে। দাবি করা হয়েছে, প্রচণ্ড ঠান্ডার জেরেই নাকি নবতিপর নেতা অযোধ্যায় যাননি আজকে। (রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার মুহূর্ত দেখতে ক্লিক করুন)
আরও পড়ুন: অযোধ্যার আঁচ কলকাতায়, রাজপথে হাঁটবেন মমতা, শুভেন্দু! শহরজুℱড়ে হবে ৬০টি মিছিল
এর আগে আযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে না আসার জন্য 'অনুরোধ' করা হয়েছিল ভারতের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা লালকৃষ্ণ আডবানি এবং গেরুয়া শিবিরের বর্ষীয়ান নেতা মুরলি মনোহর যোশীকে। ৯০-এর দশকে রামমন্দির আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিলেন এই দুই নেতাই। পরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক কার্যনির্বাহী সভাপতি অলোক কুমার দাবি করেন, ৯৬ বছর বয়সি আডবানি ২২ তারিখ অযোধ্যায় উপস্থিত থাকবেন। (আরও পড়ুন: আজ নয়া বিগ্রহে ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’, 'পু𝄹রনো' রামলালার কী হবে? জানুন প্রতিমা কাহন)
আরও পড়ুন: রামের নামে সাজল অ্য♏ান্টিলিয়া, অকাল দিওয়ালি আম্বানি গৃহে
প্রসঙ্গত, একসময়ে দুই সাংসদের দলে পরিণত হয়েছিল বিজেপি। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে এবং জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে 'রামমন্দির' ইস্যুকে হাতিয়ার করেছিল গেরুয়া শিবির। সেই আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি, মুরলি মনোহর যোশীরা। তবে এই দুই বর্ষীয়ান নেতাকেই রামমন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে না আসতে অনুরোধ করা হয়েছিল রামমন্দির ট্রাস্টের তরফ থেকে। পরে যদিও বা বিতর্কের মুখে আমন্ত্রণ জানানো হয় আডবানিকে। উল্লেখ্য, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন অযোধ্যাতেই ছিলেন আডবানি। তাঁর বিরুদ্ধে করসেবকদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগও ছিল। এদিকে দেশজুড়ে রথযাত্রার মতো একাধিক কর্মসূচির 'মুখ' ছিলেন আডবানি। দীর্ঘকাল বিজেপির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন আডবানি। তবে বর্তমানে তাঁর বয়স ৯৬ বছর। অবশ্য মোদী জমানা শুরু হতেই 'বেঞ্চে বসানো' হয়েছিল আডবানিকে। এহেন আডবানিকে রামমন্দির উদ্বোধনের দিন অযোধ্যায় আসতে বারণ করা হয় প্রাথমিক ভাবে। (দেখুন: ব্রায়ান লারার দেশ মজল রাম ভজনে)