ভারত সরকারের প্রাক্তন কর্মী, যে বিকাশ যাদবকে নিয়ে উত্তাল আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ম🅺হল, তিনি আদতে নিরপরাধ। আন্তর্জাতিক রাজনীতির স্বার্থে তাঁকে ইচ্ছা করেই 'বলির পাঁঠা' করা হচ্ছে। এমনটাই দাবি করেছেন বিকাশের আইনজীবী আর কে হান্ডুඣ এবং আদিত্য চৌধুরী।
উল্লেখ্🧸য, খলিস্তানি জঙ্গি গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে বিকাশ যাদবকে কাঠগড়ায় তুলেছে আমেরিকার বিচার বিভাগ। যা সর্বৈব ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর দুই আইনজীবী। তাঁদের বক্তব্য, বিকাশ কোনও দিন আমেরিকায় যাননি।
এই প্রসঙ্গে আইনজীবী হান্ডু বলেন, 'আমাদের মক্কেল কো൲নও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ౠজড়িত ছিলেন না। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং তা ভারতের বিরুদ্ধে রচিত এক আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ।'
বিকাশের আইনজীবীরা আরও বলেছেন, তাঁদের মক্কেলকে যেকোনও উপায়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যে নিখিল গুপ্তার সঙ্গে বিকাশ যাদব ষড়যন্ত্র করেছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে, সেই নিখিল গুপ্তাকে তিনি চ🐬েনেনই না।
আমেরিকার দাবি, বিকাশ যাদব ওরফে সিসিওয়ান, ভারতের তৈরি করা ষডꩲ়যন্ত্র কার্যকর করতে পান্নুন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য়াবলী নিখিলকে দিয়েছিলেন। পান্নুনকে হত্যা করতেই এই কাজ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
বলা হচ্ছে, এই তথ্য পরে এক 'আততায়ী'কে দেন নিখিল। যꦜিনি আদতে একজন আন্ডারকভা🌱র ডিইএ ইনফরমার ছিলেন। উল্লেখ্য, ইতিমধ্য়েই চলতি বছরের জুন মাসে নিখিল গুপ্তাকে চেক রিপাবলিক থেকে আমেরিকার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত বছর আমেরিকার সরকারের অনুরোধেই চেক রিপাবলিকꦆে রীতিমতো নাটকীয়ভাবে নিখিলকে গ্রেফতার করা হয়।
সূত্রের দাবি, এই গোটা ঘটনার জেরে গত গ্রীষ্ম থেকেই বিকাশ যাদবের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছ൲ে। এই ঘটনার জেরে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও তছনছ হয়ে ꦰগিয়েছে।
তাঁর সরকারি চাকরি গিয়েছে এবং তꦕাঁকে তাঁর সরকারি সমস্ত সুবিধা ছাড়൩তে অত্যন্ত অপমানজনকভাবে বাধ্য করা হয়েছে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে তাঁর আইনজীবী ♕হান্ডু জানিয়েছেন, 'ও🌟ঁর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এবং সর্বক্ষণ ওঁর জীবন সংশয় রয়েছে। তিনি এক অপরিসীম মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। দিল্লি পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীনও তাঁকে মানসিকভাবে হেনস্থা করা হয়েছে।'
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্য়েই বিকাশ যাদবের বিরুদ্ধে অ্য়ারেস্ট ওয়ারেন্ꦫট জারি করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। এবং তাঁকে তারা 'পলাতক' বলে দাবি করেছে। ঘটনা ঘিরে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে চূড়ান্ত কূটনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।