শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় ঘোষণা করেন, বিজেপির সহপ্রতিষ্ঠাতা তথা দেশের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবানিকে ভারতরত্নে ভূষিত করা হবে। এই ঘোষণার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানালেন লালকৃষ্ণ আডবানির ছেলে জয়ন্ত আডবানি। বাবার ভারতরত্ন প্রাপ্তি প্রসঙ্গে জয়ন্ত বলেন, 'এই খবর পেয়ে আমি আর আমার পরিবার খুবই খুশি। আমার বাবাকে ভারত রত্ন দেওয়ায় আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।' জয়ন্ত আরও বলেন, 'রাজনৈতিক জীবনে আমার বাবার অবদান অপরিসীম। এটা অসাধারণ যে তাঁর জীবনের এই পর্যায়ে তাঁর প্রচেষ্টাগুলিকে এই মহৎ উপায়ে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে।' (আরও পড়ুন: 'খাপ আমাদের সংস্কৃতি... পজিটিভ', ব🐷ললেন 𒅌উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়)
আরও পড়ুন: 'শ্রী꧑'-'সাথীদের' চক্করে হতশ্রী দশা রাꩵজকোষের, বাজেটের বাইরে গিয়ে ঋণ বাংলার: CAG
উল্লেখ্য, লালকৃষ্ণ আডবানির হাত ধরেই রামমন্দির আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল দেশে। সেই আন্দোলনের দৌলতেই কার্যত ২ সাংসদের দল থেকে আজকের অপরাজেয় দলে পরিণত হয়েছে বিজেপি🍰। তবে গত ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতি🤪ষ্ঠার সময় অযোধ্যাতেই ছিলেন না আডবানি। প্রথমে শারীরিক কারণে আসতে বারণ করা হয়েছিল। তবে হিন্দুত্ববাদীদের মধ্যে তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। এহেন পরিস্থিতিতে পরবর্তীতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে আমন্ত্রণপত্র হাতে পেয়েও অযোধ্যার রামমন্দিরে যাননি আডবানি। অবশ্য শুরু থেকেই রাম জন্মভূমি আন্দোলনের 'মুখ' ছিলেন আডবানি। দাবি করা হয়েছিল, প্রচণ্ড ঠান্ডার জেরেই নাকি নবতিপর নেতা অযোধ্যায় যাননি ২২ তারিখ।
প্রসঙ্গত, একসময়ে দুই সাংসদের দলে পরিণত হয়েছিল বিজেপি। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে এবং জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে 'রামমন্দির' ইস্যুকে হাতিয়ার করেছিল গেরুয়া শিবির। সেই আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি, মুরলি মনোহর যোশীরা। তবে এই দুই বর্ষীয়ান নেতাকেই রামমন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে না আসতে অনুরোধ করা হয়েছিল রামমন্দির ট্রাস্টের তরফ থেকে। পরে যদিও বা বিতর্কের মুখে আমন্ত্রণ জানানো হয় আডবানিকে। উল্লেখ্য, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন অযোধ্যাতেই ছিলেন আডবানি। তাঁর বিরুদ্ধে করসেবকদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগও ছিল। এদিকে দেশজুড়ে রথযাত্রার মতো একাধিক কর্মসূচির 'মুখ' ছিলেন আডবানি। দীর্ঘকাল꧑ বিজেপির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন আডবানি। তবে বর্তমানে তাঁর বয়স ৯৬ বছর। অবশ্য মোদী জমানা শুরু হতেই 'বেঞ্চে বসানো' হয়েছিল আডবানিকে। এহেন আডবানিকে রামমন্দির উদ্বোধনের দিন অযোধ্যায় আসতে বারণ করা হয় প্রাথমিক ভাবে। এই সব বিতর্কের মাঝে আডবানিকে ভারতরত্ন দেওয়ার ঘোষণা করলেন খোদ নরেন্দ্র মোদী।