খাপ পঞ্চায়েতের 'বিচার' বা এই খাপ ব্যবস্থা নিয়ে বিগত দিনে বহু বিতর্ক হয়েছে, উঠেছে বহু প্রশ্ন। তবে সেই খাপ ব্যবস্থাকেই 'দেশের সংস্কৃতি' আখ্যা দিলেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। খাপের পক্ষে সওয়ান করে ধনখড় বলেন, 'কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনার ওপর ভিত্তি করে খাপ ব্যবস্থার মূল্যায়ন করা ঠিক হবে না।' জগদীপ ধনখড় বলেন, 'আমাদের সংস্কৃতির অংশ খাপ ব্যবস্থা। আমাদের খাপের ইতিহাস ঘেঁটে দেখতে হবে। তাহলেই আমরা বুঝতে পারব যে খাপ পজিটিভ। খাপ ব্যবস্থা হরিয়ানার বিশেষত্ব।' (আরও পড়ুন: বাংলা থেকে এবার রাজ্যসভা ভো🔯টে কাকে প্রার্থী করবে BJP? 'শর্টলিস্ট' ৪🌳টি নাম)
আরও পড়ুন: মলদ্♛বীপের বোটে ভা🔯রতীয় জওয়ান কেন? বিতর্কের মাঝে দিল্লিকে প্রশ্ন মুইজ্জু সরকারের
উল্লেখ্য, শনিবার হরিয়ানার ফরিদাবাদে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ রাখেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। হরিয়ানা সর🌊কারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত একটি বই লঞ্চের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিন ধনখড়। সেখানেই তিনি খাপ ব্যবস্থার পক্ষে সওয়াল করেন। এদিকে সেই বক্তৃতার সময় তিনি হরিয়ানার আখড়াগুলিরও প্রশংসা করেন। ধনখড় বলেন, হরিয়ানার কুস্তির আখড়াগুলির দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রের মোদী সরকারেরও প্রশংসা করেন। উপরাষ্ট্রপতি বলেন, 'বিগত ১০ বছরে ভারতের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। আগে বিভিন্ন দুর্নীতির খবর শিরোনামে ঘোরাফেরা করত। আর এখন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার পথে ভারত। আর দুই বা তিন বছরেই সেখানে পৌঁছে যাবে দেশ। আর এই পরিবর্তনের নেপথ্যে বেশ কিছু কারণ আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে মুখ্য কারণ হল দেশে দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে।'
আরও পড়ুন: ছন্নছাড়া বিরোধী জোট, '৪০ আসন' মন্তব্যের জবাবে মমতাকে নিয়ে 🌺বিস্ফোরক অধীর
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় বলেন, 'যদি ১০ বছর আগের সময়কালের দিকে নজর দেওয়া হয়, তাহলে দেখা যাবে দুর্নীতির জেরে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব টালমাটল ছিল। বিশ্বের চোখে আমাদের ভাবমূর্তি ততটা উজ্জ্বল ছিল না। আর আজ আমরা বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি। আমরা কানাডা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্সের মতো দেশকে পিছনে ফেলে দিয়ে এসেছি। আগামী কয়েক বছরে আমরা জাপান এবং জার্মানিকেও পিছনে ফেলে দেব। দুর্নীতি উন্নয়নের পথে বাধাܫ হয়ে দাঁড়ায়। আগে একটা সময় ছিল যখন মিডলম্যান বা দালাল ছাড়া কোনও কাজ সম্ভব হত না। আজ এই দালালরা উধাও হয়ে গিয়েছে।' এদিকে দেশের বিচার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে ধনখড় বলেন, 'দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ তখনই বেঁচে থাকবে যখন আইনের চোখে সবাই সমান হবে। তবে আমরা আগে দেখতাম অনেক মানুষই ভাবত যে আইন তাদের রিছু করতে পারবে না। তারা নিজেদের আইনের ঊর্ধ্বে মনে করত। তবে সেই সময় এখন বদলে গিয়েছে।' এরপর কারও নাম না নিয়েই ধনখড় বলেন, 'কিছু ভ্রমিত মানুষজন ভারতীয়তা নিয়ে বদহজমের শিকার। তাদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ নেই। তারা আমাদের দেশের সংস্কৃতিকে কালিমালিপ্ত করতে চায়।'