আগামী ৩ ﷽মে'র ✤পরে দেশজুড়ে লকডাউন থাকছে না। তবে পুরোপুরি রাশ আলগা করার ঝুঁকিও নেবে না কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে এমনই ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন : করোনা রোগী বাড়লে কোনও রাজ্যেকে দোষ দেওয়া হবে না: মুখ্যমন্💮ত্রীদের বার্ত꧋া মোদীর
বর্ধিত লকডাউনের মেয়াদ শেষে আবারও 🔯যে সারাদেশকে তালাবন্ধ করা হবে না, সেই ইঙ্গিত পℱয়লা বৈশাখে জাতির উদ্দেশে ভাষণেই দিয়েছিলেন মোদী। সেজন্য আগেভাগে তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। করোনার প্রকোপের ভিত্তিতে দেশের জেলাগুলিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী কয়েকটি এলাকায় লকডাউনে আংশিক ছাড় দিয়ে জল মেপেছে কেন্দ্র। আর তাতে যে কেন্দ্র মোটের উপর সন্তুষ্ট, তা সোমবারের বৈঠকে কার্যত স্পষ্ট করে দেন মোদী।
আরও পড়ুন : Cov🏅id-19 update: সংক্রমণের এই নতুন ৬টি লক্ষণের কথা জানালেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা
পাশাপাশি করোনার জের๊ে শ্লথ হয়ে যাওয়া অর্থনীতিতে চাঙ্গা করতে লকডাউন শিথিলের ইঙ্গিত দেন মোদী। কোথায় কোথায় বিধিনিষেধ শিথিল হবে, তারও একটি রূপরেখা তুলে ধরেন মোদী। সরাসরি না বললেও মোদী কার্যত স্পষ্ট করে দেন, ৩ মে'র শুধুমাত্র রেড জোন বা হটস্পট এলাকাগুলি তালাবন্ধ থাকবে। কমলা জোন বা নন-হটস্পট এলাকায় আংশিক লকডাউন রাখা হবে। অর্থাৎ কয়েকটি ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকলেও কয়েকটি কাজের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেবে কেন্দ্🎉র। সবুজ জোনে কোনও বিধিনিষেধ থাকবে না বলে ইঙ্গিত দেন মোদী।
আরও পড়ুন : Lockdown 2.0: কোটꦡায় আটকে থাকা পড়ুয়ারা শীঘ্র বাড়ি ফিরবে, 'অসহায় বোধ না করার' বার্তা মমতার
তাঁর কথায়, 'দেশের ৩০০ টি জেলা সুরক্ষিত বা সবুজ জোনে রয়েছে। সেগুলিকে আমাদের তীর্থস্থানের মতো বিবেচনা করতে হবে। এই এলাকাগুলি একত্রিতভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ভূমিকা পালন করবে। তবে সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চলতে হবে। দো গজ কী দূরি⭕র মন্ত্র বাতিল করলে চলবে না। কীভাবে সবুজ জোনকে বাড়ানো যায়, সেদিকেই নজর থাকবে আমাদের। আগামীদিনে আমাদের জীবন কেমন হবে, সেই মডেল সবুজ জোনে তৈরি হবে। কমলা জোনে নয়, লাল জোনে তো নয়ই।'
আরও পড়ুন : Lockdown 2.0: কোন দোকান খুলবে, কোনগুলি 🍌বন্ধ রাখতে হবে - দেখে নিন কেন্দ্রের সাম্প্রতিক নির্দেশ
মোদীর বক্তব্য, সবুজ জোনে যে অভিজ্ঞতা হবে, তার ভিত্তিতে অন্যান্য জোনের ক্ষেত্রে ঘুঁটি সাজানো হবে। পাশাপাশি অনেকে তাঁকে বিভিন্ন পরামর্শও দিয়েছে। মোদীর কথায়, 'বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও রয়েছে। তার ভিত্তি💖তে আমরা নিশ্চিত করব যে লকডাউন থাকুক। কিন্তু জীবনযাপন চালু থাকুক। আমাদের মন্ত্র হচ্ছে, লাল জোনকে কমলায়, কমলা জোনকে সবুজ জোনে পরিণত করা।'
আরও পড়ুন : Lo💃ckdown 2.0: দেশজুড়ে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে এক রাজ্য, শিথিলে মত অধিকাংশের
পাশাপাশি, করোনা সংকটের সময় সংস্কারের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেজন্য প্রতিটি রাজ্যে অগ্রণী ভূমিক♔া পালনের আর্জি জানান। তিনি বলেন, 'আপনারা আমায় দারুণ পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা সেগুলি পড়ছি। কিন্তু আমাদের একটি জিনিসের অভাব আছে, তা হল সংস্কার। আপনারা জানেন, অনেকে বিদেশ থেকে ভারতে আসতে চান। যদি আমরা পুরনো পথেই চলি, তাহলে আমরা সেই সুযোগ হারাব। এই সংকটের সময় আমাদের সংস্কারের সুযোগ রয়েছে। আমাদের কাছে হয়তো পুরোপুরি তৈরি কোনও উপায় নেই। তবে আমরা সেটাই উন্নতি করতে পারি। একে অপরের সঙ্গে লড়াইয়ের কোনও জায়গা নেই। সংস্কারের ক্ষেত্রে রাজ্যগুলিকে এগিয়ে আসতে হবে।'