প্রতিবেশী বাংলাদেশের অতিমারী পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এর জেরে ২৩ জুলাই নতুন করে কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে হাসিনা সরকার। ৫ অগস্ট পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এরই মাঝে সেদেশে দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের অভাব। কঠোর লকডাউন জারি থাকলেও করোনা থেকে নিস্তার মেলার ইঙ্গিত মেলেনি। অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যু খবরও পাওয়া যাচ্ছে। এই সংকটে বাংলাদেশে অক্সিজেন পাঠিয়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায় ভারত। এতকিছুর মাঝে মনে করা হচ্ছে ওপার বাংলায় লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়তে পারে।বর্তমানে সেদেশে সব অফিস, সব ধরণের কারখানা বন্ধ আছে। এর জেরে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেদেশের পোশাক তৈরির শিল্প। তবে শনিবার বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা জানায় যে রবিবার থেকে পোশাক কারখানা সহ যেসব সামগ্রী রফতানি করা হয়, সেরম সব পণ্যের কারখানা খোলা যাবে সেদেশে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মী এবং শ্রমিকদের কাজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এই বিষয়ে বাংলাদেশের প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছিল যাতে লকডাউন জারি থাকলেও কারখানা খুলে দেওয়া হয়। তাই সবার কথা ভেবেই দেশে শিল্প কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাজ করার সময় সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে ও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।এদিকে কারখানা খোলার সিদ্ধান্তের পর এবার দেশের দোকান মালিক সংগঠন দাবি তুলেছে যে দোকনও খুলতে দিতে হবে। তবে এই বিষয়ে এখনও সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। এদিকে বর্তমানে জারি থাকা লকডাউনের বিধিনিষেধ আরও ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে সেদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। তবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া বাকি রয়েছে।