২০১৪ এবং ২০১৯ সালে একার দমেই সরকার গঠন করার মতো জায়গায় পৌঁছেছিল বিজেপি। তবে ২০২৪ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে বহু আসন পিছনেই থেকে যাচ্ছে বিজেপি। ৫৪৩ আসনের লোকসভায় যেখানে ম্যাজিক ফিগার ২৭২, সেখানে বিজেপি বেলা দেড়টা নাগাদ এগিয়ে প্রায় ২৪০টি আসনে। অর্থাৎ, সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ৩২টি আসন পিছনে। এরই মাঝে 'কিংমেকার'-এর খোঁজে নেমেছে বিজেপি। এই আবহে চন্দ্রবাবু নাইডুকে ফোন করলেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। পাঁচবছর আগে জাতীয় রাজনীতিতে প্রায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছিলেন। তবে এই নির্বাচনে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছেন চন্দ্রবাবু। (আরও পড়ুন: ম্যাজিক ফিগারও ছুঁতে পার𒁏ছে না BJP, দেশ ও বাং𒉰লায় ডাহা ফেল বুথফেরত সমীক্ষা)
আরও পড়ুন: ভোটবাক্সে NDA ধাক্কা খেতে♎ই আড়াই 🌟লাখ কোটি টাকা 'হাওয়া', বড় ধস আদানির শেয়ারে
চন্দ্রবাবু নাইড়ুর টিডিপির সঙ্গে এবারে বিজেপি এবং পবন কল্যাণের জনসেনা জোট করে ভোট ময়দানে নেমেছিল। লোকসভার পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে ক্ষমতাসীন ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি প্রায় মুছে গিয়েছে। ১৭৫ আসনের বিধানসভা ভোটে টিডিপি এগিয়ে ১৩২টি আসনে, জনসেনা এগিয়ে ২০ আসনে, বিজেপি ৭ আসনে। আর ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি এগিয়ে মাত্র ১৬ আসনে। এদিকে অন্ধ্রপ্রদেশের লোকসভা ভোটেও টিডিপি এগিয়ে ১৬ আসনে, বিজেপি এগিয়ে ৩ আসনে, জোটসঙ্গী জনসেনা এগিয়ে ২ আসনে। এই আবহে টিডিপিকে কাছে টানার চেষ্টা করল কংগ্রেস। তবে মোদী আর শাহ ফোন করেন টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবুকে। এই আবহে রিপোর্টে দাবি করা হল, টিডিপি এনডিএ-তেই থাকবে। (আরও পড়ুন: SENSEX LIVE💦: BJP-র ধাক্কায় ধস বাজারে, বেলায়ཧ ২০০০ পয়েন্ট ঘুরে দাঁড়াল সেনসেক্স)
আরও পড়ুন: '০৪-এ ৫✱৩৯৯ পয়েন্টে পৌঁছয় সেনসেক্স, ফিরে দেখুন ভোটের ফলে শেয়ার বাজারের ওঠা-নামা
রিপোর্ট অনুযায়ী, দুপুর পর্যন্ত বিজেপি এখনও এগিয়ে বা জয়ী ২৪০টি আসনে, এদিকে জনতা দল ইউনাইটেড এগিয়ে ১৫টি আসনে, টিডিপি এগিয়ে ১৬টি আসনে। এলজেপি এগিয়ে ৫টি আসনে, শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে) এগিয়ে ৫ আসনে, জনতা দল সেকুলার এগিয়ে ২ আসনে, জনসেনা এগিয়ে ২ আসনে। এই আবহে জোটসঙ্গীদের সঙ্গে নিয়েই সরকার গঠন করতে হবে। এখান থেকেই জোট ভাঙিয়ে সরকার গঠনের চেষ্টা করবে কংগ্রেস। সেই প্রচেষ্টাও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে চন্দ্রবাবুকে নিজেদের দিকে রেখে আপাতত সরকার গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। এইಌ পরিস্থিতি চন্দ্রবাবুর সঙ্গে ফোনে কথা হল মোদীর। পরে অমিত শাহও ফোন করেন অন্ধ্রের 'ভবিষ্যত মুখ্যমন্ত্রী'কে।