মহারাষ্ট্রে পাওয়ার পরিবারের রাজনৈতিক আঙিনার একটি গুরুত্ব♌পূর্ণ কেন্দ্র বারামতি। এই কেন্দ্রে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের স্ত্রী সুনেত্রা পাওয়ার অজিত পক্ষের এনসিপির প্রার্থী। এদিকে, সম্পর্কে সুনেত্রার তুতো ননদ তথা শরদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে এই কেন্দ্রে শরদ পাওয়ারের পক্ষের এনসিপির প্রার্থী। আর এই যুযুধান দুই পক্ষের সংঘাতের মধ্যে সুপ্রিয়া সুলে তুললেন বড়সড় অভিযোগ। বারামতি কেন্দ্রে ভোটের ইভিএম যে ওয়্যারহাউসে রাখা হয়েছিল সেখানের সিসিটিভি ক্যামেরা ৪৫ মিনিট বন্ধ ছিল বলে দাবি সুপ্রিয়ার। শরদকন্যার অভিযোগ সেখℱানে কারচুপি করা হয়েছে।
শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত বহুদিনই শরদ পক্ষের এনসিপি থেকে বেরিয়ে মহারাষ্ট্রের বিজেপি- শিবসেনার একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে জোট সরকারে রয়েছেন। এদিকে, মহারাষ্ট্রের বারামতি কেন্দ্র পাওয়ার পরিবারের অটুট দুর্গ। সেই কেন্দ্রেই এবারের ভোটে লড়ছেন পাওয়ার পরিবারের দুই মহিলা সদস্য। লড়াই ননদ-বৌদির। এই কেন্দ্রে শরদপক্ষের এনসিপি প্রার্থী সুপ্রিয়া সুলে এক এক্স পোস্টে দাবি করেছেন, ‘বারামতি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণের পরে, আজ সকালে ৪৫ মিনিটের জন্য একটি গোডাউনের সিসিটিভি যেখানে ইভিএম রাখা হয়েছিল তা বন্ধ ছিল। ইভিএমের মতো গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যেখানে রাখা হয়েছে সেখানে সিসিটিভি বন্ধ থাকায় সন্দেহজনক। এছাড়াও, এটি একটি বড় ত্রুটি।’ গত ৭ মে বারামতি কেন্দ্রে হয়ে গিয়েছে ভোট। তারপর এই বিস☂্ফোরক অভিযোগ তোলেন সুপ্রিয়া সুলে। তাঁর দাবি, ‘ নির্বাচনী প্রতিনিধিরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনও সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ওই জায়গায় টেকনিশিয়ানও পাওয়া যাচ্ছে না।’
( Donkey Milk Business:গরু নয় গাধাদের ‘গোয়াল’ আছে এই ব্যক্তির! লিটারে ৫ হꦏাজার টাকায় বিক্রি হয় দুধ, উপকার চমকে দেবে)
এছাড়াও শরদ কন্যা সুপ্রিয়া সুলের দাবি, প্রার্থী হিসাবে তাঁর ভোটিং প্রতিনিধিকে ওই ওয়্যার হাউসে ইভিএম সুরক্ষিত রয়েছে কি না, ܫতা দেখতে দেওয়া হচ্ছে না। এই ইস্যুতে গর্জে উঠে নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আবেদন করেছেন সুপ্রিয়া সুলে। তিনি বলেন,' নির্বাচন কমিশনের উচিত অবিলম্বে এ বিষযꦺ়ে নজর দেওয়া এবং সিসিটিভি বন্ধের কারণ প্রকাশ করা। এ ছাড়া ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।' তাঁদের অভিযোগ, সকাল ১০.৩০ মিনিট থেকে বেলা ১১.১৫ মিনিট পর্যন্ত ওয়্যার হাউসের সিসিটিভি বন্ধ ছিল। বারামতি রিটার্নিং অফিসার কবিতা দ্বিবেদী বলেন, দলের দাবি তদন্ত করা হয়েছে, এবং দেখা গেছে যে গোডাউনের একজন ইলেকট্রিশিয়ান একটি তার সরিয়ে ফেলেছিল, যার কারণে ডিসপ্লে ইউনিটটি বন্ধ হয়ে গেছে।