মা-বাবা দুজনকেই নিয়মিত চোখ ধাঁধানো ও জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে দেখতেন। অল্প বয়স থেকেই ফ্রাঁঙ্কোয়িস ছিলেন এর ঠিক বিপরীত। কিশোরী বয়সেও তিনি পিয়ানো বাজানো কিংবা বই পড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। ২০২৩ সালে তিনিই বিশ্বের সেরা ধনীদের তালিকায়। এর আগেও সেই ধারা বজায় রেখেছিলেন তিনি। এবারেও তা রইল। ২০২৩ সালের বিশ্বের ধনী নারীর যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে ১২ নম্বরে রয়েছেন ফ্রাঁঙ্কোয়িস। সম্প্রতি ফোর্বস ম্যাগাজিন সেই তালিকা প্রকাশ করেছে। প্রসঙ্গত, তিনি বিশ্ববিখ্যাত লরিয়াল ব্র্যান্ডের উত্তরাধিকারী। তিনি ফ্রাঁঙ্কোয়িস বেতনক্যুঁ🌸 মেয়ার।
(আরও পড়ুন: বেশি মিলিটারি ‘প্রেম’ꦯ দেখালেই সাজা! যুদ্ধাস্ত্রে👍র ছবি নিয়ে কড়া হল চিন)
- ১০০ বিলিয়ন ডলার ক্লাবে প্রথম নারী
১০০ কোটি বিলিয়ন ডলার ক্লাবে নাম লে🍎খালেন ফ্রাঁঙ্কোয়িস। এই প্রথম কোনও মহিলা সম্পত্তির নিরিখে এই ক্লাবে প্রথম! ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ৮৩,২১,৬৩,৫০,০০,০০০ টাকা। ফ্রাঁঙ্কোয়িস বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড লরিয়ালের প্রতিষ্ঠাতা ইউজিন শুলারের নাতনি। ১৯০৭ সালে চুল রং করার জন্য এক ধরনের সল্যুশন বানিয়েছিলেন ইউজিন। সেটির নাম দিয়েছিলেন 'ওরিয়াল'। প্যারিসের হেয়ারড্রেসারদের কাছে সেই পণ্য বিক্রি করতেন তিনি। পরবর্তীকালে নিজের এই উদ্যোগ একটি সংস্থা হিসেবে রেজ▨িস্টার করিয়ে নেন। যা কিছুদিন পর 'লরিয়াল' নামে আত্মপ্রকাশ করে।
- উত্তরাধিকারী ফ্রাঁঙ্কোয়িস
১৯৫৭ সালে শুলারের সম্পত্তির উত্তরাধি﷽কারী হন তার মেয়ে লিলিয়ান বেতনক্যুঁ। তিনি ও তাঁর স্বামী ফরাসি রাজনীতিক আঁদ্রে বেতনক্যুঁ মিলে খুব দ্রুত সমাজের উঁচু স্তরে জায়গা করে নেন। লরিয়ালের ৩৩ শতাংশ মালিকানা পাওয়া সত্ত্বেও ফ্রাঁঙ্কোয়িস একটু অন্য প্রকৃতির। প্রসাধনী জগতের✨ বাইরে বিভিন্ন কাজে সময় ব্যয় করেন ফ্রাঁঙ্কোয়িস। এর মধ্যে একটি হলো বই লেখা।
(আরও পড়ুন: এয়🀅ারটেলকে বড় জরিমানা কꦬরল জিএসটি দফতর! নির্দেশ ফেরানোর আবেদন সংস্থার)
বিভিন্ন বিষয় নিয়েই বই লিখেছেন বিলিয়নিয়ার এই নারী। তার মধ্যে ধর্ম প্রধান। ১৯৮৭ সালের দিকে বিজ্ঞান ও শিল্পকলা নিয়ে গবেষণা ও মানবতাবাদী উদ্যোগ প্রচারের লক্ষ্যে 'বেতনক্যুঁ শুলার ফাউন্ডেশন' প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। অবসর সময়ে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা পিয়ানো বাজান। শৈশব থেকে বাইবেল ধর্মগ্রন্থ মেনে চলেন ফ্রাঙ্কোইস। বাইবেল নিয়ে চর্চাও করেছেন প্রচুর। ধ💝র্মের প্রতি আগ্রহ রয়েছে বলে সেই সংক্রান্ত একাধিক বইও লিখে ফেলেছেন। তাই বাইবেল নিয়ে দু’টি বই লিখেছেন তিনি। বাইবেলের পাশাপাশি গ্রিক দেবদেবী নিয়েও বই লিখেছেন ফ্রাঙ্কোইস। ব্যবসার কাজ নিয়ে যথেষ্ট ব্যস্ত থাকেন তিনি। তবুও কাজের ফাঁকে সময় বার করেন।