গালওয়ান ঘাটিতে চিনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য মরণোত্তর যুদ্ধকালীন বীরত্ব পুরস্কার পেলেন ১৬ বিহার রেজিমেন্টের কম্যান্ডিং অফিসার কর্নেল বি সন্তোষ বাবু। আরও পাঁচজনকে বীরচক্র পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, যেটা সাধারণত যুদ্ধের সময় দেওয়া হয়। সন্তোষ বাবুকে দেওয়া হয়েছে মহাবীর চক্র, বাকি পাঁচজন পেয়েছেন বীর চক্র। এর মধ্যে চারজন মরণোত্তর এই পুরস্কারটি পেলেন। মহাবীর চক্র হল যুদ্ধকালীন পরিস্থতিতে যে বীরত্ব পুরস্কার দেওয়া হয়, তার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। প্রসঙ্গত, ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে চিনের সঙ্গে সংঘর্ষে কুড়িজন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়। বীরচক্র পেয়েছেন নায়েব সুবেদার নুদুরাম সোরেন, হাভিলদার কে পালানি, হাভিলদার তেজিন্দার সিং, নায়েক দীপক সিং ও সিপাই গুরতেজ সিং। রমেশ বাবুর সম্মানপত্রে লেখা আছে যে নিজের স্বার্থের আগে দেশের স্বার্থ দেখে তিনি শত্রুপক্ষকে আটকে দিয়েছিলেন। মারাত্মক চোট পাওয়া সত্ত্বেও সামনে থেকে লড়েছিলেন তিনি। প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রেখে লড়াই করে শত্রুকে প্রতিহত করেন রমেশ বাবু ও তাঁর সেনা। প্রসঙ্গত, সেইদিন আচমকা প্যাংগং লেকের ১৪ নম্বর প্যাট্রলিং পয়েন্টের ধারে আক্রমণ করে লাল ফৌজ। চাইলে কম্যান্ডিং অফিসার হিসেবে অন্য কাউকে পাঠাতে পারতেন বাবু। কিন্তু নিজে তিনি সামনে থেকে লড়াই করেন। চার ঘণ্টার রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর চিনকে পিছু হটতে বাধ্য করেন তিনি।