রক্তক্ষরণ হয়েই চলেছে। ক্রমশ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন সদ্য মা হওয়া যুবতী। আর সেটা দেখেও নির্লিপ্তভাবে বেরিয়ে গেলেন মহিলা চিকিত্সক। মর্নিং ওয়াকের রুটিনে ব্যাঘাত ঘটাতে চাননি তিনি। অনভিজ্ঞ নার্সিং কর্মীদের উপযুক্ত নির্দেশও দিয়ে যাননি।কোথাকার ঘটনা?মহারাষ্ট্রের জালনার এক বেসরকারি হাসপাতালের ঘটনা। অভিযোগ, গুরুতর অবস্থায় থাকা মহিলা রোগীকে অনভিজ্ঞ নার্সিং স্টাফের হাতে ছেড়ে দিয়ে বেরিয়ে যান ওই মহিলা চিকিত্সক। প্রাতঃভ্রমণে গিয়েছিলেন তিনি।ঔরঙ্গাবাদ সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের উর্ধ্বতন চিকিত্সকদের একটি কমিটি এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা করেছেন। তারপরেই রবিবার পুলিশ ওই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে।ঠিক কী হয়েছিল?রোগীনি নেহা লিধোরিয়া(২৬), প্রসবোত্তর রক্তক্ষরণের (পিপিএইচ) কারণে গত ১৩ এপ্রিল প্রাণ হারিয়েছেন। উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। মহিলাকে প্রসবের জন্য ওই দিনই জালনার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।পুলিশ আধিকারিকরা জানান, রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে,তিনি সুস্থ শিশুর জন্ম দিয়েছেন।১৩ এপ্রিল সকালে, মহিলা চিকিত্সক অনভিজ্ঞ নার্সিং কর্মীদের উপর রোগীর দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে যান।তাঁর যাওয়ার আগেই ওই রোগীনি পিপিএইচ-এ আক্রান্ত হন। রক্তক্ষরণে ক্রমেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন।কিন্তু নার্সিং কর্মীদের রোগীর রক্তের প্রয়োজনীয়তা বা চিকিত্সার প্রচেষ্টার সম্পর্কে তিনি অবহিত করেননি।স্ত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় ভেঙে পড়েন নেহার স্বামী। তদন্তের দাবিতে সরকারি জেলা হাসপাতালে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এরপর অভিযোগটি বিশেষজ্ঞ প্যানেলের কাছে পাঠানো হয়। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ নম্বর ধারার(অবহেলায় মৃত্যু ঘটানো) অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।