গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে শারোদৎসব। প্রকৃতি ও শক্তির স্বরূপ দুর্গার আরাধনায় মেতে উঠেছে দেশ, অবশ্যই করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশ মাথায় রেখেই। বৈষ্ণদেবী মন্দিরেও শুরু হয়েছে নবরাত্রি উৎসব। নয় দিন ব্যাপী উৎসবের সূচনা হয়েছে শত চণ্ডী মহাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে। কঠিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও কোভিড নির্দেশাবলীর যথাযথ পালনে গুরুত্ব দিয়ে ‘বৈষ্ণদেবী শ্রাইন বোর্ড’ বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ ও অন্যান্য রীতিনীতির মাধ্যমে এই উৎসবের সূচনা করেছে। কাটরা শহরে অবস্থিত ত্রিকূট পর্বতের পবিত্র গুহায় এই মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানবজাতির শান্তি, উন্নতি ও সুস্বাস্থ্যের উদ্দেশ্যে শুরু এই মহাযজ্ঞ সম্পন্ন হবে মহানবমীতে পূর্ণ আহূতির পর।শ্রীমাতা বৈষ্ণদেবী শ্রাইন বোর্ডের সিইও রমেশ কুমার-সহ বোর্ডের অন্যান্য সদস্য ও বিপুল সংখ্যক তীর্থযাত্রী এই মহাযজ্ঞে উপস্থিত ছিলেন। নবরাত্রির সময় রোজ সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত এই শত চণ্ডী মহাযজ্ঞের সম্প্রচার হবে।বলাই বাহুল্য, প্রতি বছরের মতো এ বছরও বৈষ্ণদেবীর ভবন ‘আটকা’ ও তার আশপাশের অংশকে নবরাত্রি উপলক্ষে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এমনকী নবরাত্রির সময় বিপুল সংখ্যক ভক্ত সমাগমের কথা মাথায় রেখে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বোর্ড। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, অবিরত জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। গুহা পর্যন্ত যাওয়ার সমস্ত পথেই এই ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি স্যানিটেশন ও ভক্তদের জন্য বিশেষ খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, পবিত্র গুহা পর্যন্ত সমস্ত পথের মেরামতি করা হয়েছে, যাতে যাতায়াতে ভক্তদের কোনও ধরণের অসুবিধার মুখে পড়তে না-হয়।ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তীর্থযাত্রীদের অভিমত নেওয়ার জন্য তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন বোর্ডের সিইও। বোর্ডের এক আধিকারিক জানান যে, উৎসবের প্রথম দিনে প্রায় ৭ হাজার পূণ্যার্থী কাটরা এসেছিলেন।উল্লেখ্য, শনিবার সকালে জম্মুর ডিভিশনাল কমিশনার সঞ্জীব ভার্মা কাটরা শহরে নবরাত্রি উৎসবের উদ্বোধন করেন।