এক বছর ধরে স্বামী বাথরুমে আটকে রেখেছিল পানিপথের রামরতিকে। তবুও তাঁর বাড়ির লোকেরা স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানাতে রাজি নয়। সেই কারণে সহজেই জামিন পেয়ে গেল অভিযুক্ত নরেশ কুমার। রামরতিকে বাথরুম থেকে উদ্ধার করার পর তাঁকে তার আত্মীয়দের কাছে দিয়ে যান মহিলা ও শিশু উন্নয়ন দফতরের কর্মীরা। এরপর পুলিশ এসে স্টেটমেন্ট রেকর্ড করতে গেলেই বাধে বিপত্তি। অভিযুক্ত নরেশ কুমারের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না। তাদের অজুহাত যে এতে রামরতির তিনটি শিশু বিপাকে পড়বে। প্রোটেকশন অফিসার রজনী গুপ্ত বলেন যে কেউ অভিযোগই দায়ের করতে চাইছে না। এই বিষয় তাঁরা উর্ধ্বতন অফিসারদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান গুপ্ত। রামরতির আত্মীয় অনিল কুমার বলেন যে মানসিক রোগে ভুগছিলেন এই মহিলা। সেই কারণে তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করেন স্বামী ও সন্তানরা। রাখিতে যখন রামরতিকে দেখতে যান, তখনও তিনি বাথরুমে ছিলেন। সেই সময় নরেশকে এই বিষয় বলায় তিনি বলেন যে সঠিক ভাবে তাঁর চিকিৎসা করা হবে। কিন্তু বাস্তবে কিছু করা হয়নি। রামরতিকে নিজেদের বাড়িতে রাখতে রাজি হলেও আইনি ঝক্কিতে যেতে চান না অনিল কুমার ও তাঁর মা। একবছর বাথরুমে তিন ফুট বাই তিন ফুটের মধ্যে আটকে থাকার পর পা ছড়াতে পারছেন না তিনি। নরেশ গ্রেফতার বলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বেল পেয়ে গিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আরও গুরুতর ধারায় কীভাবে মামলা করা যায়, সেটা এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ।