দিনকয়েক আগেই কয়েকজন অচেনা মানুষের আচরণে তাঁর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল। আর এক সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতে সেরকমই কয়েকজন অচেনা মানুষের ব্যবহারে মুগ্ধ উত্তর দিল্লির ফলবিক্রেতা ফুল মিঞা ওরফে ছোটে। ঘটনাটি ঠিক কী? গত বুধবার দিল্লির জগৎপুরীতে একটি ছোটাখাটো মারপিটের ঘটনা ঘটে।সেই সময় সেখানে ফল বিক্রি করছিলেন ছোটে।তারই মধ্যে কয়েকজন ছোটের ঠেলাগাড়ি থেকে আম চুরি শুরু করেন।কেউ কেউ হেলমেটের মধ্যে আম ঢুকিয়ে নেন। কেউ আবার রাস্তায় অটো দাঁড় করিয়ে আম নিয়ে পালিয়ে যান। প্রায় হাজার তিরিশ টাকা ক্ষতির মুখে পড়েন ছোটে। একেই তো লকডাউন, তার মধ্যে সামনে ইদ - এত টাকার ধাক্কা কীভাবে সামলে উঠবেন, তা ভেবেই রাতের ঘুম ওড়ে তাঁর। এরইমধ্যে একটি সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম সেই ঘটনাটির সম্প্রচার করে। ছোটের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যও প্রকাশ করা হয়। তারপর অসংখ্য মানুষ ছোটের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছেন। কেউ ১০০-২০০ টাকা দিয়েছেন। কেউ আবার কয়েক হাজার টাকা দিয়েছেন।সব মিলিয়ে এখনও প্রায় আট লক্ষ টাকা এসেছে তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। অচেনা-অজানা সেই মানুষদের সাহায্যে অভিভূত ছোটে। অবাকও বটে। কয়েকজন অচেনা লোকের কারণে তাঁর জীবনে যে কালো মেঘের ঘনঘটা হয়েছিল, তা আজ অচেনা মানুষদের হাত ধরেই কেটে গিয়েছে। যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছিল, তার থেকে বেশি মিলেছে সাহায্য।পরে ওই সংবাদমাধ্যমে ছোটে বলেন, ‘যাঁদের চুরি করার ছিল, তাঁরা করেছেন। তবে আমি অভিভূত যে এত মানুষ আমায় সাহায্য করেছেন।‘ ইদের আগে ইদিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ছোটে বলেন, ‘এখন মনে হচ্ছে, আমি জীবন ফিরে পেলাম। শেষপর্যন্ত আমি ইদ উদযাপন করতে পারব। ছেলেমেয়েদের দেখভাল করতে পারব।‘